দেশ জুড়ে ধরনার (Dharna) ডাক সাধারণ বিমা সংস্থাগুলির (Insurance Company)। আগামী ২৯ মার্চ দেশ জুড়ে ধরনার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে শুধু ২৯ তারিখই নয়। তার আগে ২৩ মার্চ অর্ধদিবস (Half Day) ধরনা এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি (Agitation) পালনের ডাক দিয়েছে বিমা সংস্থাগুলি। পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বিমা কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ সাফ জানিয়েছে, আগামী ২ মার্চ এবং ১৬ মার্চ টিফিনে বিরতির সময় কেন্দ্রের ‘হিটলারি’ (Hitler) নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হবে।


বিমা কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চের কর্মচারীদের অভিযোগ, বিমা সংস্থাগুলির প্রতি ‘বিমাতৃসুলভ’ আচরণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আচমকাই বেসরকারিকরণ, কর্মী ছাঁটাই, দফতর সংকোচনের পাশাপাশি একাধিক ‘হিটলারি’ পদক্ষেপ করে বিমা কর্মীদের নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ঢেলে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয় কর্মীদের প্রাপ্য বেতন টুকুও দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া আচমকা বেসরকারিকরণ করে পুরো সংস্থাকে ‘ঢেলে সাজাতে’ গিয়ে কার্যত বিপদের মুখেই ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বিমা কোম্পানিগুলিকে। না তবে শুধু বিমা কর্মীদের বললে ভুল হবে। কেন্দ্রের অধীনে থাকা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতরকেই বেসরকারিকরণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আর তাতে একদিকে যেমন কর্মীরা কর্মহীন হয়ে পড়ছেন ঠিক তেমনই বেসরকারিকরণের জাঁতাকলে পড়ে কার্যত নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় বর্তমান কর্মচারীদের। আর যার জেরেই এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত বিমা সংস্থাগুলির। যার জেরে চরম সমস্যার মুখে পড়েছে নিউ ইন্ডিয়া অ্যাসিওরেন্স (New India Assuarance), ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স (National Insurance), ওরিয়েন্টাল ইন্সুরেন্স কোম্পানি (Oriental Insurance Company), ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার (United India) মতো একাধিক বিমা সংস্থাগুলিকে।

তবে কর্মীদের অভিযোগ, সরকারি বিমা সংস্থাগুলির প্রকৃত অবস্থা খতিয়ে না দেখেই সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে বেসরকারি কনসালটেন্ট সংস্থা নিয়োগ করেছে। আর সেইসব সংস্থা কোম্পানিগুলির হাল হকিকত খতিয়ে না দেখেই একটা মস্তিষ্কপ্রসূত কাল্পনিক রিপোর্ট পেশ করছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বিমা কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার সেই অসম্পূর্ণ ভিত্তিহীন রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই কোম্পানীগুলির কর্মীদের বিনা পারিশ্রমিকেই অতিরিক্ত পরিশ্রম করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কর্মীদের জব রোল পাল্টে তাঁদের অন্য রাজ্যে জোর করে বদলি করে দেওয়ার মতো ঘটনা সামনে এসেছে। এছাড়াও যাদের প্রশাসনিক কাজের জন্য কোম্পানিতে নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁদের জোর করে মার্কেটিং বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনাও নজরে আসছে।















