CAA যেন ‘কুমিরের ছানা’: পঞ্চায়েতের আগে ফের নাগরিকত্বের সুর শান্তনুর মুখে

প্রতিটি নির্বাচনের আগে একবার করে ‘সিএএ’-কে(CAA) ভোট বাজারে তুলে ধরেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর(Shantanu Thakur)। সেই ধারা অব্যাহত রেখে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের একবার ‘সিএএ’ আশ্বাস দিলেন বনগাঁর সাংসদ। বিজেপির(BJP) এক জনসভায় উপস্থিত হয়ে শান্তনু জানালেন, “আশা করছি ২০২৪ সালের আগে সিএএ ইমপ্লিমেন্ট হবে।” তবে প্রতিবার ভোটের আগে সান্তনুর এই সিএএ কুমির ছানা তুলে ধরার বিষয়কে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।

রবিবার বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের গাইঘাটার ছেকাটি ডীঙ্গামানি এলাকায় বিজেপির এক জনসভায় উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, “আশা করছি ২০২৪ সালের আগে সিএএ বাস্তবায়িত হবে।” তবে সিএএ নিয়ে তিনিও যে সংশয়ে আছে তা এদিন তাঁর বক্তব্যেই প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেন, “সিএএ একটি জটিল অবস্থায় আছে। সুপ্রিমকোর্টে এই বিষয়টি আটকে রয়েছে। সুপ্রিমকোর্ট যতক্ষন বিষটি পরিস্কার না করছে ততদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এটা দেশে লাগু করতে পারে না। সুপ্রিমকোর্টের তরফে স্পষ্ট রায় না আসা পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না। তবে আশা করছি ২৪ সালের আগেই সিএএ চালু হবে।” তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি সাংসদের এহেন বক্তব্যের মধ্যেই রহস্য লুকিয়ে আছে। স্বাভাবিকভাবেই আবার সিএএ গল্প আবার ফাঁদা হচ্ছে।

এই মন্ত্যব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “শান্তনুকে যারা ভোট দিয়ে জিতিয়েছে তাদেরকেই আবার নতুন করে বেনাগরিক করে দিতে চাইছে সিএএ-এর কথা বলে। সিএএ নিয়ে প্রচুর মামলা হয়েছে। আগে সেগুলির সমাধান হোক। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে আগলে রেখেছেন। এই রাজ্যে কাউকেই বেনাগরিক হতে দেবেন না। আসলে শান্তনু আনেক কিছুই জানেন না। আসলে ভোটের বাজার গরম করতেই এই সিএএ এর কথা বলছে। মতুয়াদের নতুন করে ভাঁওতা দিচ্ছে। তবে মতুয়ারা বুঝে গেছে আসল গল্প কী। তাই সিএএ নিয়ে আর গল্প ফাঁদতে পারবে না শান্তনু।”

Previous articleযোগী রাজ্যে এক সিরিঞ্জেই ‘গণ ইঞ্জেকশন’! H.IV পজিটিভ কিশোরী
Next articleঅর্ধেক চুল, অর্ধেক ন্যাড়া: ২৪-এ কৌস্তভের চুলের স্টাইল বাতলে দিলেন কুণাল