‘সমঝোতা’র মুখ আবডালে রেখে দিল্লির মঞ্চে বিজেপি(BJP) ‘বিরোধিতা’ বজায় রেখেছে কংগ্রেস(Congress)। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সমঝোতার মুখোস পড়ল খসে। বেরিয়ে এল হাত-পদ্মের গলাগলির ছবি। বাংলায় তৃণমূল বিরধিতায় একমঞ্চে সুর চড়াতে দেখা গেল কংগ্রেস ও বিজেপিকে। রবিবার ডিএ আন্দোলনের মঞ্চকে হাতিয়ার করে একমঞ্চে এক সারিতে বসলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যসভাপতি রাহুল সিনহা এবং আপাতত খবরের শিরোনামে থাকা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। ধর্মতলার এই ছবি দেখে তাজ্জব রাজনীতির অতিবড় বিশেষজ্ঞরাও। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় বিজেপি ও কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
এদিন ধর্মতলার মঞ্চ থেকে কৌস্তভকে বলতে শোনা যায়, রাজ্যসরকারের ডিএ দেওয়ার ক্ষমতা নেই অথচ খেলা মেলা উতসবের জন্য সরকারের টাকার অভাব নেই। এরপর সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকতে হলে সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হব। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৌস্তব বাগচীকে চেনেন না এমনি এমনি ন্যাড়া হইনি। মমতাকে উৎখাত করে তবেই ছাড়ব।” একইসুরে ওই মঞ্চ থেকেই শাসকদলকে আক্রমণ শানাতে দেখা যায় বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাকেও। এই ঘটনায় বিজেপি ও কংগ্রেসকে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। এপ্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, কৌস্তভ বাগচী নিজেকে হিরো ভাবতে শুরু করেছেন। তবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যেতে গিয়ে নিজেদের নীতি আদর্শ ভুলে বিজেপি কংগ্রেস আজ একমঞ্চে এসেছে। বাম-বিজেপি-কংগ্রেস সব এক হয়ে গিয়েছে।
এর পাশাপাশি এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপির দুই ভাই সিপিএম ও কংগ্রেস। এখানে এরা প্রতিপদে একে অপরের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে। বিজেপি এখানে ঢুকতে পারছে না তাই ওদের এজেন্ট হিসেবে কংগ্রেস ও সিপিএমকে এখানে ওখানে কাজ করাচ্ছে। কংগ্রেস এখন বিজেপির ‘বি’ টিম। শুধু তাই নয় কৌস্তভকে কটাক্ষ করে কুণাল আরও বলেন, উনি যদি রাজনৈতিক কারণে ন্যাড়া হয়ে থাকেন এবং যদি ২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি কম আসন পায় এবং বিকল্প সরকারে কংগ্রেস ও তৃণমূল দুই দল থাকে এবং একে অপরকে সহযোগিতা করে তবে ওর চুলের স্ট্যাইল হবে একদিকে চুল আরেক দিকে ন্যাড়া।”