Monday, November 10, 2025

বিজ্ঞাপনে অকারণে হোলিকে জড়িয়ে বি*তর্কে ভারত ম্যাট্রিমনি !

Date:

Share post:

২০২৩ সালে ৮ মার্চ হোলির (Holi) আনন্দে মেতেছে গোটা দেশ। আবার ওই দিনটি ছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবস (International Women’s Day)। এই দুই তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়কে মাথায় রেখে ভারত ম্যাট্রিমনি (Bharat Matrimony) বাজারে একটি বিজ্ঞাপন (Advertisement) নিয়ে আসে। যেখানে হোলির রঙে রঙিন মহিলাকে দেখা যায়, যিনি জল দিয়ে রং ধুয়ে ফেলার পর মুখের আঘাতের চিহ্ন গুলো প্রকাশ্যে আসে। এরপরই স্ক্রিনে ফুটে ওঠে একটি বিশেষ বার্তা, হোলি খেলতে গিয়ে নারী সুরক্ষার (Woman Security)বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত। বিজ্ঞাপনটি টেলিকাস্ট সবার পর থেকেই বিত*র্কের ঝড় নেট দুনিয়ায়।

ভারত ম্যাট্রিমনির বিজ্ঞাপনের মূল কথা ছিল, হোলি খেলতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন বহু মহিলা। সেই ক্ষতচিহ্ন সহজে মোছা যায় না। বিজ্ঞাপন সংস্থার তরফের দাবি করা হয় যে সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, হোলি খেলতে গিয়ে যেসমস্ত মহিলারা হেনস্তার শিকার হন, তাঁরা পরে আর কোনওদিন রং খেলতে যাননি। এরপরেই বিতর্ক দানা বাঁধে। নেটিজেনদের একাংশ বলছেন , রাস্তাঘাটে ট্রেনে বাসে অনেকেই এই ধরনের ঘটনা সম্মুখীন হন। তাই বলে কি তারা সব কাজ ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে মুখ লুকিয়ে বসে থাকবেন? যে ঘটনায় তাঁদের কোন দোষ নেই তার দায় কেন নারীকে নিতে হবে? ভারত ম্যাট্রিমনি অকারণে হোলির মত ধর্মীয় উৎসবকে টেনে এনে নারী সুরক্ষার বিষয়টিকে নিয়ে ব্যবসা করতে চাইছেন বলে অভিযোগ নেট নাগরিকদের। এরপরই বিজ্ঞাপন বয়কট করার দাবি জোরালো হয়। অবশ্য নেট দুনিয়ার অনেকেই এই বিজ্ঞাপনের বক্তব্যকে সমর্থনও করেছেন।

 

spot_img

Related articles

সিনেমা দেখে খুনের ছক! স্ত্রীকে পুড়িয়ে নদীতে ছাই ফেলে থানায় অভিযোগ স্বামীর

সিনেমা দেখেই পরিকল্পনা! ‘দৃশ্যম’ দেখে অপরাধের ছক কষেছিলেন পুনের (Pune) বাসিন্দা সমীর যাদব। ৩৮ বছরের স্ত্রী অঞ্জলি যাদব...

১ ডিসেম্বর থেকে নয়া হারে আবগারি শুল্ক কার্যকর! রাজ্যে কত হচ্ছে সুরার দাম

শীতের শুরুতে মৌতাতের পরিকল্পনা করলে, সেই আনন্দে কিছুটা ধাক্কা। কারণ পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) বাড়ছে সব ধরনের মদের  দাম...

অচলায়তন ভেঙে মুক্ত চিন্তাভাবনার অঙ্গন হবে বাংলা: রাখি-রিয়াকে শুভেচ্ছা তরুণদের আইকন অভিষেকের

তিনি যুব সমাজের আইকন। তৃণমূলের (TMC) সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ঘিরে সব সময়ই তরুণ প্রজন্মের জনজোয়ার। আর...

পাঁচবারের কাউন্সিলর, তবু নাম উড়ে গেল ভোটার তালিকা থেকে! চাঞ্চল্য খড়দহে

শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০২ সালে। সেই তালিকায় তাঁর নাম যে ছিল, তার প্রমাণ, সেবার তিনি কাউন্সিলর (councilor) নির্বাচিত...