দিল্লির আবগারি নীতি দুর্নীতিতে (Delhi Excise Policy Scam) নাম জড়িয়েছে তাঁর। একাধিকবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-ইডি (CBI & ED) তলব করলেও হাজিরা দেননি। শুক্রবারই দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ফের তাঁকে তলব করা হয়েছিল। এরইমাঝে দিল্লিতে অনশনে বসলেন ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী তথা তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কে কবিতা (K Kavitha)। আর সেই মঞ্চকে সামনে রেখেই আরও একবার নিজেদের ঐক্য প্রমাণ করল সম্মিলিত বিরোধী শিবির। বিআরএস নেত্রীর ডাকা ধরনা মঞ্চে হাজির ১২ বিরোধী দল। অথচ বিরোধীদের সেই মঞ্চেই অনুপস্থিত কংগ্রেস (Congress)। আর কংগ্রেসের এমন মনোভাব নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। বিরোধী ঐক্যে কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও উঠছে বিস্তর প্রশ্ন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে দিনভর দিল্লির যন্তর মন্তরে অনশন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিআরএস নেত্রী কে কবিতা। সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women Reservation Bill) পেশ করার দাবি জানিয়ে অনশনে বসেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই দিল্লির প্রতীকী অনশনে সামিল হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার মহিলা সাংসদ সুস্মিতা দেব, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং, নির্দল সাংসদ কপিল সিব্বল, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি-সহ জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিত বেশ কিছু মুখ। এছাড়াও ধরনা মঞ্চে রয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে শিবির, অকালি দল, পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, জেডিইউ, এনসিপি, সমাজবাদী পার্টি, সিপিআই, এবং বিআরএস নেতারাও।

শুক্রবারই দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় কে কবিতাকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু দিল্লির যন্তর মন্তরে অনশন কর্মসূচি থাকায় আজ তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না বলেই আগেভাগে জানান ইডিকে। আগামী ১১ মার্চ দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে ইডি সেই প্রস্তাবে রাজিও হয়েছে। তবে বিআরএস নেত্রী কবিতা সাফ জানিয়েছেন, সরকারি ক্ষেত্রে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের পাশাপাশি সংসদেও মেয়েদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করতে হবে। আর কেন্দ্র আইন কার্যকর না করলে আগামী দিনে দেশজুড়ে আন্দোলন হবে।