পণ ২ লক্ষেরও বেশি টাকা না, পাত্রপক্ষের ছিল না। বিয়ে করতে বিশাল অঙ্কের টাকা চেয়েছিল পাত্রীপক্ষ। কিন্তু সময়মত সেই দাবিপূরণ করতে পারেনি পাত্রপক্ষ।তাই শেষমুহূর্তে বিয়ে বাতিল করলেন হায়দরাবাদের এক আদিবাসী পাত্রী। ফলে বিয়ের আসর থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হন আদিবাসী তরুণীর হবু স্বামী। এই অভিযোগ করে ওই পাত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয় পাত্রপক্ষ।
আরও পড়ুন:‘মানা কি কুছ নহীঁ গালিব’, উৎপল সিনহার কলম
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে হায়দরাবাদ থেকে কিছুটা দূরে ঘাটকেসর এলাকায় বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। পুচারাম গ্রাম থেকে বরযাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে সময় মতো বিয়ের আসরে হাজির হন পাত্র। অশ্বরাওপেট গ্রাম থেকে বিয়ের আসরে আসার কথা ছিল পাত্রীরও। তবে দীর্ঘ ক্ষণ কেটে গেলেও পাত্রীর দেখা নেই। তড়িঘড়ি পাত্রীর হোটেলে ছুটে যান পাত্রের পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, সে সময় পাত্রপক্ষের কাছ থেকে ২ লক্ষের বেশি টাকা পণের দাবি করেন পাত্রী। সে খবর জানতে পেরে মণ্ডপ ছেড়ে বেরিয়ে যান পাত্র।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ঘটনায় থানায় গিয়ে নালিশ জানিয়েছেন পাত্রপক্ষ। সেখানে পাত্রীকে তলব করেন পুলিশ আধিকারিকেরা। সংবাদমাধ্যমের কাছে পুলিশের এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘‘মৌখিক ভাবে নালিশ জানালেও পাত্রীর বিরুদ্ধে কোনও লিখিত অভিযোগ করেনি পাত্রপক্ষ। ফলে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর বিয়ে ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুই পরিবারের সদস্যেরা।’’

পুলিশের দাবি, পাত্রপক্ষ পরে ২ লক্ষ টাকা পণ দিলেও বিয়েতে রাজি হননি পাত্রী। ওই পুলিশকর্তার দাবি, ‘‘মনে হচ্ছে, এই বিয়েতে গোড়া থেকেই আগ্রহী ছিলেন না পাত্রী। সে কারণেই পণের দাবি করেছিলেন। এমনকি, তিনি নিজে বিয়ের মণ্ডপে যাননি।’’
