সমলি*ঙ্গের বিয়েতে ঘোর আপত্তি! সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের

সোমবার থেকেই এই ঐতিহাসিক মামলার শুনানি শুরু হবে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ড়ের‌ নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সোমবার থেকে টানা শুনানি করে শীর্ষ আদালতের অবস্থান জানিয়ে দেবে।

সমলিঙ্গের বিয়ের (Same Gender Marriage) বিরোধিতা করে রবিবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India) হলফনামা জমা দিল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। এদিন শীর্ষ আদালতকে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র জানায়, ভারতীয় পারিবারিক সম্পর্কের সঙ্গে সমকামী সম্পর্কের কোনও তুলনাই চলে না। ভারতীয় পরিবারের ধারণা হল স্বামী, স্ত্রী এবং তাঁদের সন্তান। পাশাপাশি হলফনামায় সামাজিক কারণে সমলিঙ্গ বিয়ের বিরোধিতা করা হয়েছে। কেন্দ্র জানায়, সমকামী সম্পর্ককে আইনি বৈধতা দেওয়ার মানে এই নয় যে সমলিঙ্গের বৈবাহিক সম্পর্ককেও বৈধতা দিতে হবে। আর কেন্দ্রের এই হলফনামার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবারই শুনানির দিন ধার্য করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, সমলিঙ্গের বিয়ের আইনি স্বীকৃতি নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে শীর্ষ আদালতে। আর তারপরই বিয়ের আবেদন খারিজের কথা জানাল কেন্দ্রীয় সরকার।

সোমবার থেকেই এই ঐতিহাসিক মামলার শুনানি শুরু হবে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ড়ের‌ (Justice D Y Chandrachud) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সোমবার থেকে টানা শুনানি করে শীর্ষ আদালতের অবস্থান জানিয়ে দেবে। যা আরও ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হতে পারে, আশাবাদী মামলাকারীরা। তার আগে রবিবার আদালতে হলফনামা জমা করে নিজেদের অবস্থান জানাল মোদি সরকার। তবে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছে, দেশের হাইকোর্টগুলিতে দায়ের হওয়া মামলাগুলিও একই সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।

উল্লেখ্য, চার বছর আগে সংবিধানের ৩৭৭ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে সমলিঙ্গের প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকেরা পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারেন। সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ের সুবাদে এই ধরনের সমলিঙ্গের সম্পর্ককে আর অপরাধ বলে গণ্য করা হয় না। কিন্তু তারপরও তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের আইনি স্বীকৃতি নেই দেশে। আর সেকারণেই দেশের সমলিঙ্গের চার দম্পতি সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের বিয়ের স্বীকৃতি চেয়ে মামলা করেছেন। চার মামলাকারী তাঁদের আবেদনে জানিয়েছেন, সমলিঙ্গের বিয়ে দেশে বাড়ছে। ২০১৮ তে সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ৩৭৭ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিল করার পর সমলিঙ্গের বিয়ে বেড়েছে। ওই অনুচ্ছেদে সমলিঙ্গের মধ্যে যৌনতাকে অপরাধ বলে গণ্য করা হত।