Saturday, August 23, 2025

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)রাজ্যে ক্ষ্মতায় আসার পর থেকে একেরপর এক প্রকল্প চালু করেছেন বাংলার বুকে। একদিকে যেমন বাংলার মানুষ উপকৃত হচ্ছেন অন্যদিকে বিশ্বের বুকে তা প্রশংসিত হচ্ছে। এবার মমতা ন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা ‘বাংলা সহায়ত কেন্দ্র’(Bangla Help Center)মডেল নিজেদের দেশে শুরু করতে চলেছে শেখ হাসিনা সরকার (Bangladesh Government)।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই রাজ্যে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’থেকে ‘এক জানালা’ পদ্ধতির মাধ্যমে সমস্ত সরকারি পরিষেবা বিনামূল্যে নাগরিকদের পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এবার সেই একই কাজ করে নিজের দেশের মানুষের মন জয় করতে চায় বাংলাদেশ সরকার। রাজ্যের এই প্রকল্প বাস্তবে কীভাবে কাজ করে তা সরজমিনে ঘুরে দেখলেন বাংলাদেশ সরকারের ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। হাওড়া জেলাশাসকের কার্যালয় ও ডোমজুড় ব্লকে গিয়ে তাঁরা পুঙ্খানুখভাবে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেন। যেভাবে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে রাজ্যের প্রতিটি গ্রামাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকাতেও সমস্ত সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে তা জেনে এবং দেখে রীতিমত অভিভূত হয়ে পড়েন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনায় রাজ্যের প্রতিটি অঞ্চলে গড়ে উঠেছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র। সেখান থেকে এলাকার বাসিন্দারা সহজেই বিনামূল্যে সরকারি পরিষেবা পেয়ে থাকেন। কীভাবে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও সম্পূর্ণ নিখরচায় বাংলা সহায়তা কেন্দ্রর মাধ্যমে এই রাজ্যের মানুষ সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন তার খুঁটিনাটি বুঝতেই হাওড়া আসেন বাংলাদেশের ওই দলটি। প্রথমে তাঁরা ডোমজুড় ব্লক ও পরে হাওড়ায় জেলাশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র ঘুরে দেখেন।

রাজ্যে এই মুহূর্তে ৪ কোটি ৭০ লাখ মানুষ বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি পরিষেবা পেয়েছেন। বাংলার প্রকল্প দেখে অভিভূত বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশ সরকারের ডিজিট্যাল ফিনান্সের কর্মী তহরুল হাসান জানান, পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের ধাঁচে তাঁদের দেশেও পরিষেবা চালু করা হবে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে একটি কেন্দ্র থেকে সিঙ্গল উইন্ডো ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে সমস্ত সরকারি পরিষেবা দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায় তা জানতেই তাঁদের এখানে আসা বলেও উল্লেখ করেন তিনি । এই ব্যাপারে হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক(পঞ্চায়েত) সৌমেন রায় জানান,” বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের পুরো বিষয়টি বিস্তারিতভাবে বোঝানো হয়েছে। এই সংক্রান্ত টেকনিক্যাল বিষয়গুলিও তাঁদের ভালোভাবে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

 

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...
Exit mobile version