রাজ্য ও কেন্দ্রের মহার্ঘ্যভাতার পার্থক্য বোঝালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার, আলিপুর জাজেস কোর্টের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বার্তা- সরকারি চাকরি করে কেন্দ্রীয় সরকারি হারে ডিএ পাওয়া যায় না। একই সঙ্গে আলিপুর জাজেস কোর্টের পরিকাঠামো উন্নয়নে একগুচ্ছ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। এই বিষয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্র ও রাজ্যের বেতন কাঠামোর বরাবরই ফারাক রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্কুলের মাইনে এক রকম, রাজ্যের স্কুলের মাইনে আর এক রকম। তাঁর কথায়, এর পরেও আমরা কিন্তু DA দিয়েছি। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সমস্ত সুপারিশ মেনে নিয়েছি।“ এ বিষয়ে বলতে গিয়ে বাম জমানার সঙ্গে তুলনাও টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, আগে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা যথাসময়ে বেতন বা পেনশন পেতেন না। পনেরো দিন এক মাস সময় লেগে যেত। এখন সে পরিস্থিতি নেই। মাসের ১ তারিখে বেতন হয়। যে সরকার নিজে থেকেই এত মানবিক তাকে আর কী বলা যেতে পারে!

এদিনও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে ৭ হাজার কোটি টাকা বকেয়া। রাস্তার টাকা, আবাস যোজনার টাকাও কেন্দ্র দিচ্ছে না। ফলে রাজ্যকেই পেনশন, স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প, খাদ্যসাথী প্রকল্পের মতো সামাজিক সুরক্ষা খাতে খরচ বহন করতে হচ্ছে। একা একটা সরকারের পক্ষে এর চেয়ে বেশি আর সম্ভব নয়।

*পরিকাঠামো উন্নয়নে একগুচ্ছ ঘোষণা*
• আলিপুরের কোর্টের ভবনের জন্য ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
• আলিপুর কোর্টের এখতিয়ার অর্থাৎ Jurisdiction জুরিসডিকশন বেড়ে কোটি টাকা করার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
• আলিপুর কোর্টের কোভিডে মৃত আইনজীবীদের পরিবারকে আরও ৫০হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
• আইনজীবীদের জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

আরও পড়ুন:উপাচার্য নিয়োগের এক্তিয়ার শুধুমাত্র আচার্যের, নির্দেশ হাইকোর্টের
