Thursday, December 18, 2025

ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর খেসারত! ড্রোনে ধাক্কার ঘটনায় দূরত্ব বাড়ছে আমেরিকা-রাশিয়ার

Date:

Share post:

আমেরিকান ড্রোনের (American Drone) সঙ্গে রাশিয়ার ফাইটার জেটের (Russia Fighter Jet) সংঘর্ষ। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কৃষ্ণসাগরে (Black Sea) মার্কিন ড্রোনের উপরে জ্বালানি ফেলে দেয় রাশিয়ার ফাইটার জেট। এরপরই ড্রোনের সঙ্গে শুরু হয় সংঘর্ষ। কিছুক্ষণ পর কৃষ্ণসাগরের উপরই ভেঙে চুরমার হয়ে যায় ড্রোনটি। মঙ্গলবার মার্কিন সামরিক বাহিনীর তরফে এই কথা জানানো হয়েছে। যদিও রাশিয়া মার্কিন ড্রোনের সঙ্গে সংঘর্ষের কথা মানতে একেবারেই নারাজ। তবে মার্কিন ড্রোনটি সম্পূর্ণ যন্ত্রচালিত ছিল। যদিও ঘটনায় কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত আরও বাড়বে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

মার্কিন সেনার দাবি, কৃষ্ণসাগরের উপর মাঝ আকাশে মার্কিন ড্রোনের উপর জ্বালানি ঢেলে দেয় রুশ যুদ্ধবিমান। তারপর সরাসরি ওই ড্রোনকে ধাক্কা মারা হয়। তবে ইউরোপের মার্কিন সেনা কম্যান্ডের তরফে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক জলসীমার উপর ওই MQ-9 ড্রোনটির অবস্থান ধরে ফেলে রাশিয়ার দুটি সুখোই-২৭ যুদ্ধবিমান। তারপর সেই ড্রোনটির উপর আঘাত হেনে রুশ যুদ্ধবিমান একেবারেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে মার্কিন সেনার দাবি, আঘাত হানার আগে দফায় দফায় MQ-9 ড্রোনটির উপর জ্বালানি ফেলা হয়। মার্কিন কম্যান্ডের তরফে দাবি করা হয়েছে, এমকিউ-৯ ড্রোনের সামনে দিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে ফাইটার জেট ওড়ানো হচ্ছিল। পরিবেশের জন্য ক্ষতিপূর্ণ ও অত্যন্ত অপেশাদার পদ্ধতিতে ফাইটার জেটগুলি ওড়ানো হচ্ছিল বলেই অভিযোগ। একাধিক সংবাদসংস্থা তরফেও কৃষ্ণসাগরে মার্কিন জেট ভেঙে পড়ার কথা স্বীকার করা হয়েছে। যদিও মস্কোর তরফে এই বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ‘চৌকস’ MQ-9 রিপার নামের ওই ড্রোন ব্যবহার করে। যা একবার জ্বালানি নিলে ১৮০০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত হামলা চলতে পারে। এর গতি ঘণ্টায় ৪৮২ কিলোমিটার। অন্যদিকে, ১৯৮৫ সালের শুরুতে সুখোই Su-27 সোভিয়েত ইউনিয়নের বিমান বাহিনীতে প্রথম নিয়ে আসা হয়েছিল এবং এটি ‘ফ্ল্যাঙ্কার’ নামেও পরিচিত। Su-27 অত্যন্ত দ্রুত গতিতে উড়তে সক্ষম এবং এর ফ্লাইট রেঞ্জ ১৮০০ মাইল। Su-27 এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল এবং অন্যান্য বিভিন্ন গোলাবারুদ দিয়ে সুসজ্জিত।

গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের সাহায্য করেছে আমেরিকা। সেই কারণেই আমেরিকার উপর বেজায় চটেছে রাশিয়া। এই ড্রোন হামলা সেই ঘটনারই প্রেক্ষিতে ঘটল কী না, তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা শুরু হয়েছে।

 

 

spot_img

Related articles

নিউটাউনের ঝুপড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

উত্তর ২৪ পরগনার নিউটাউনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার সন্ধ্যার পর...

বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ: বিনিয়োগের বার্তা নিয়ে শিল্পপতিদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে শিল্প ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে আরও বিস্তৃত করতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ’। ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে...

২২ জানুয়ারি থেকে শুরু ৪৯তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা, ভার্চুয়ালেও মিলবে মেলার স্বাদ

আর দেড় মাসের অপেক্ষা। আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে ৪৯তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। বইপ্রেমীদের জন্য এ...

যুবভারতীর বিশৃঙ্খলা-কাণ্ডে শোকজের জবাব জমা তিন শীর্ষ কর্তার

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার ঘটনায় শোকজের জবাব জমা দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, ক্রীড়া...