Sunday, August 24, 2025

সব দোষ মণীষের! কালো টাকা সাদায় হিসাবরক্ষকের উপরেই দায় চাপালেন কেষ্ট

Date:

দিনকয়েক আগেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত (Delhi Rouse Avenue Court) থেকে বেরোচ্ছিলেন চোখের জল মুছতে মুছতে। আর আদালত থেকে বেরিয়ে স্ত্রীকে দেখেই সেই কান্না আর ধরে রাখতে পারেননি। অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় তাঁর স্ত্রীকেও। তিনি মণীশ কোঠারি(Manish Kothari)। এখন তাঁর দিকেই তাকিয়ে ইডির (Enforcement Directorate) তদন্তকারী আধিকারিকরা। তিনি গরু পাচার (Cattle Smuggling) মামলায় অভিযুক্ত এবং ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক (Accountant)। গরু পাচারের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগে তাঁকেও ইডি গ্রেফতার করেছে। যদিও মণীশের দাবি, তিনি কোনও অন্যায় করেননি।

তবে জেরায় অনুব্রত সমস্ত দোষ চাপিয়েছেন হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির ঘাড়েই। পালটা ধৃত কোঠারির দাবি, তিনি কাজ করেছেন অনুব্রতর নির্দেশ মেনে। তবে আসল সত্য জানতে লাগাতার জেরা চালাচ্ছে ইডির তদন্তকারী। এদিকে আগামী ২০ মার্চের মধ্যে অনুব্রতকন্যা সুকন্যাকেও (Sukanya Mondal) তলব করেছে ইডি। আর তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে প্রকৃত তথ্য জানার চেষ্টা চালাবে তদন্তকারীরা। এদিকে গরু পাচারের টাকা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের তথ্য আগেই পেয়েছিল তদন্তরকারীরা। সে সম্পর্কে জানতে অনুব্রতকে প্রশ্ন করেন তদন্তকারীরা। জবাবে অনুব্রত সাফ জানান, মণীশ আমাকে যেভাবে কালো টাকা সাদা করতে বলেছে, আমি করেছি। তবে মণীশের পাল্টা দাবি, উনি কারও কথা শুনতেন না। নিজের যা মনে হত করতেন।

গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের নজরে ছিলেন মণীশ। তদন্তকারীদের কাছে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির হিসাবরক্ষক হিসাবে নাম উঠে আসার পর তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। গ্রেফতারের আগে মণীশকে দু’দফায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-র আধিকারিকরাও। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার করা হয় মণীশকে। আপাতত রবিবার পর্যন্ত তিনি থাকবেন ইডি হেফাজতেই।

 

 

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version