নিজস্ব আয়বৃদ্ধি এবং ব্যয় সঙ্কোচের মাধ্যমেই নাগরিক পরিষেবায় গতি আনতে চায় কলকাতা পুরসভা। এই অস্ত্রেই আর্থিক প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে মহানগরীর উন্নয়ন অভিযানকে বিশেষ মাত্রা দেওয়ার সঙ্কল্প নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আগামী আর্থিক বছরের পুরবাজেটে প্রতিফলন ঘটবে এই দৃঢ় সঙ্কল্পেরই। শুক্রবার কেন্দ্রীয় পুরভবনে বাজেট পেশ করবেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

স্বনির্ভরতার প্রশ্নে অভ্যন্তরীণ আয়বৃদ্ধির সম্ভাব্য উৎসগুলিকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছেন পুর-আধিকারিকরা। মিউটেশন থেকে শুরু করে কর আদায়- প্রতিটি ক্ষেত্রেই বকেয়া কাজ দ্রুত শেষ করে মসৃণ করা হয়েছে বিভিন্ন খাতে আয়বৃদ্ধির পথ। সেইসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় পুরসভার অব্যবহৃত সম্পত্তি-জমি থেকেও আয়বৃদ্ধির পথ খুলে যাচ্ছে দ্রুত। অন্যান্যবারের মতো এবারেও যথারীতি বিশেষ গুরুত্ব পাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা। পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি স্যাটেলাইট হেলথ সেন্টারের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা পরিকাঠামোর উন্নয়নের বিষয়টিও অগ্রাধিকারের তালিকায়। প্রয়োজনে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যাবৃদ্ধির বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে। তবে অপ্রয়োজনীয় খাতে ব্যয়সঙ্কোচের বিষয়টি পুরসভার আর্থিক বিকাশের ক্ষেত্রে বিশেষ ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করছে পুরসভার অর্থ দফতর। বাজেটের উপরে আলোচনার সম্ভাবনা ২০ ও ২১ মার্চ।

আরও পড়ুন:বীরকন্যা প্রীতিলতা: কলকাতা প্রেস ক্লাবে বিশেষ প্রদর্শনে মন ছুঁলো এপার বাংলার
