রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে কতটা সক্রিয়? তথ্য পেশ করে জানালো ইডি

বেছে বেছে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি(ED)। শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চালানো হচ্ছে এমনই অভিযোগ তুলে সরব বিরোধীরা। এহেন পরিস্থিতির মাঝে এবার বিধায়ক(MLA) বা সাংসদদের(MP) মত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ মামলা(Money Laundaring Case) নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যেখানে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রাক্তন ও বর্তমান বিধায়ক বা সাংসদদের মত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মাত্র ২.৯৮ শতাংশ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার ৯৮ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় সরকার তিনটি আইনের অধীনে চলা তদন্তগুলি নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে প্রিভেনশব অব মনি লন্ডারিং অ্যাক্ট বা PMLA, ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট বা FEMA ও পলাতক অর্থনৈতিক অপরআধী আইন বা FEOA অধীনে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ২০০৫ সালের ১ জুলাই আইনটির মাধ্যমে এজেন্সিকে তলব, জিজ্ঞাসাবাদ, অভিযুক্তদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ইডির রিপোর্টে বলা হয়েছে, বর্তমান ও প্রাক্তন সাংসদ ও বিধয়কদের বিরুদ্ধে পুলিশের এফআইআরএর সমতুল মোট ১৭৬টি এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে। যা আইনটি দায়ের হওয়ার পর থেকে এপর্যন্ত সমস্ত মামলার মাত্র ২.৯৮ শতাংশ। PMLA এর অধীনে দায়ের করা হয়েছে ১.১৪২টি চার্জশিট। ECIR-এর অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে ৫১৩ জনকে। ২৫টি মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। আর ২৪টি ক্ষেত্রে দোষীদের সাব্যস্ত করা হয়েছে। একটি মামলায় খালাস করা হয়েছে।

ইডির তথ্য অনুযায়ী, আর্থিক তছরুপ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামীর সংখ্যা ৪৫। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার ৯৬ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত ৩৬.২৩ কোটি টাকা র সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আদালত দোষীদের ৪.৬২ কোটি টাকা জরিমানা ধার্য করেছে। এই সংস্থার আরও দাবি, ১৫ জনের বিরুদ্ধে FEOA কার্যক্রম শুরু করেছে যার মধ্যে নয়জনকে এখন পর্যন্ত আদালত দ্বারা পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী (FEO) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং ২০১৮ সালে আনা এই আইনের অধীনে সংযুক্ত সম্পদের পরিমাণ ৮৬৪২৪৩ কোটি টাকা।

Previous articleরাজনৈতিক স্বার্থে গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার! মণীশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ সিবিআইয়ের
Next articleমে মাসেই ১২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ রাজ্যে,ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর