মে মাসেই ১২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ রাজ্যে,ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর

ওএমআর শিট ১০ বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হবে। প্রধান শিক্ষক, নবম- দ্বাদশ, উচ্চ প্রাথমিক সবই ধাপে ধাপে নিয়োগ হবে ।

ফাইল

চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে প্রাথমিকে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে। প্রধান শিক্ষক নিয়োগ এপ্রিল থেকেই হবে।বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “আরও শূন্য পদ চিহ্নিত করেছি। সেগুলো বোর্ডে পাঠাব। এসএসসিতে নতুন নিয়ম তৈরি হচ্ছে।এবার থেকে ইন্টারভিউতে লাইভ ভিডিয়োগ্রাফি হবে। ওএমআর শিট ১০ বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হবে। প্রধান শিক্ষক, নবম- দ্বাদশ, উচ্চ প্রাথমিক সবই ধাপে ধাপে নিয়োগ হবে ।

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, প্রয়োজনীয় সংশোধন করে নিয়োগ বিধির খসড়া প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। যা শীঘ্রই মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে। তারপরই ধাপে ধাপে নতুন নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তিনি বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষক নিয়োগে এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে হয়ে যাব। ধাপে ধাপে প্রত্যেকটা স্তরে নতুন নিয়োগের পথে যাব।’’ প্রসঙ্গত গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যেই অষ্টম পর্যায়ে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াকে শেষ করতে চায় রাজ্য।এবার আরও একধাপ এগিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এপ্রিল মাসের মধ্যেই রাজ্যে ১২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হতে চলেছে।

রাজ্যজুড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তার মাঝেই রাজ্যে ১২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগকে স্বচ্ছ ভাবে করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। একদিকে যেমন ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ার, তেমনি নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ করার জন্য যারা ইন্টারভিউ নিচ্ছেন তাদেরকে দেওয়া হয়েছে ল্যাপটপ। সেই ল্যাপটপের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়ার নম্বর সরাসরি তারা পাঠিয়ে দেবেন পর্ষদের কেন্দ্রীয় সার্ভারে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে আর কোনওভাবেই সেই নম্বরকে বদলানো সম্ভব নয়।

শুধু তাই নয়। সেই চাকরিপ্রার্থী ইন্টারভিউতে কত নম্বর পেয়ে গেলেন সেটাও সঙ্গে সঙ্গে চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তবে শুধুমাত্র ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় ভিডিওগ্রাফি নয়, এবার ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়াকেও ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। প্রত্যেক প্রার্থী ধরে ধরে প্রক্রিয়াকে ভিডিওগ্রাফি করছে পর্ষদ। সেক্ষেত্রে সময় বেশি লাগলেও পর্ষদ আশা করছে, এপ্রিলের প্রথম দিকের মধ্যেই গোটা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া পর্ষদ শেষ করে ফেলতে পারবে। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ করার কয়েক দিনের মধ্যেই পর্ষদ প্যানেলও প্রকাশ করতে পারবে বলেই আশা প্রকাশ করছেন পর্ষদের আধিকারিকরা।

 

Previous articleরাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে কতটা সক্রিয়? তথ্য পেশ করে জানালো ইডি
Next articleসৌদিতে রোনাল্ডোর পর কি এবার মেসি? জল্পনা তুঙ্গে