Tuesday, November 11, 2025

রাজ্যজুড়ে যে কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠন মিটিং, মিছিল করতে হলে স্থানীয় থানার অনুমতি নেয়। এবার থেকে আর সেটা করা যাবে না।রাজ্যের যেকোনও জায়গায় মিটিং, মিছিলের অনুমতি সংক্রান্ত যাবতীয় আবেদন করতে হবে জেলার পুলিশ সুপার বা কমিশনারেটে। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

সেই নির্দেশে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, পুলিশ অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে কোনও বৈষম্য করতে পারবে না। পৃথক রেজিস্টারে কোন দল, কোন তারিখ, কোথায় কর্মসূচি করছে সেই বিষয়টি নথিবদ্ধ রাখতে হবে। কে কখন আবেদন জমা দিয়েছে তারও উল্লেখ রাখতে হবে। পর্যায়ক্রমে সংখ্যা ধরে সেইসব আবেদন বিবেচনা করে পুলিশ অনুমতি দেবে।

আবেদনের রেজিস্টার অনলাইনে দেখতে পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। কতজন মিটিং, মিছিলে যোগ দিতে পারে তার সংখ্যা, কোন স্থানে করতে চায় সেই জায়গা বা মিছিলের রুট জানতে হবে পুলিশকে। এছাড়া, স্থানীয় থানাকে নিশ্চিত করতে হবে যে, মিটিং, মিছিলে কোনও অশান্তি না হওয়ার বিষয়টি। বহিরাগতরা এসে যাতে গোলমাল না করতে পারে তাও দেখতে হবে পুলিশকে। নজরদারি থাকবে মিটিং, মিছিলে বক্তব্য প্রদানকারীদের শব্দ বিধির দিকেও।

বিজেপি, আইএসএফ সহ রাজ্যের বিরোধী দলগুলি প্রায়ই অভিযোগ করে যে, মিটিং, মিছিলের ক্ষেত্রে প্রশাসন তাদের অনুমতি দেয় না। যা বৈষম্যমূলক বলে অভিযোগ বিরোধী দলগুলোর। সম্প্রতি ভাঙড়ে সিপিএমের সভার অনুমতি নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়। শেষে আদালতের হস্তক্ষেপে কাটে সভা সংক্রান্ত জট।ভাঙড়ে সিপিএম এবার মিটিং মিছিল করতে পারবে। ২৮ মার্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই পুলিশের সেই মিছিলে অনুমতি দিতে আপত্তি নেই বলেই আদালতে জানানো হয়েছে।

 

 

Related articles

সঙ্গীত পরিচালকের ভূমিকায় সৃজিত?

১৫ বছর টলিউডে রাজত্ব করেছেন। ঝুলিতে রয়েছে দুর্দান্ত সব ছবি। কিন্তু এবার সঙ্গীত পরিচালকের ভূমিকায় কাজ করতে চলেছেন...

উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সেমিস্টারের আনসার কী প্রকাশ! মিলিয়ে দেখার সুযোগ পরীক্ষার্থীদের

প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সেমিস্টারের আনসার কী। মঙ্গলবার অনলাইনে এই উত্তরপত্র প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা...

কোন ধারায় আমি সাসপেন্ড? পার্থর বিস্ফোরক চিঠি দলীয় নেতৃত্বকে

দলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাঠানো চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই। দুর্নীতির অভিযোগে সাসপেনসেনকে অবৈধ বলে ব্যাখ্যা করেছেন পার্থ।...

দুদফায় ভোটগ্রহণ শেষে বিহারের Exit Polls: নীতীশ না তেজস্বী-শেষ হাসি হাসবেন কে?

দুদফায় ভোটগ্রহণের শেষের পরেই প্রকাশিত বিহারের বুথ ফেরত সমীক্ষা। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে জোট শরিকদের দুর্বলতায় মসনদে বসা...
Exit mobile version