আজ, শুক্রবার কালীঘাটে দলের শীর্ষ ও সাংগঠনিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় এজেন্সিরগুলির অতিসক্রিয়তা, আবার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সাগরদিঘি উপনির্বাচনে পরাজয় এবং পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি মনে করা হচ্ছে, ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিজেপি বিরোধিতায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা সংসদে ও দেশে ঠিক কী হতে চলেছে সেই বার্তাও এই বৈঠক থেকে দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন:দাম বাড়ল ‘বাংলার ডেয়ারির’, রইল দামের তালিকা

এদিনের বৈঠকে সাংসদ, বিধায়ক থেকে জেলা নেতৃত্ব হাজির থাকবেন কালীঘাটে। এমন সময়ে এই বৈঠক হচ্ছে, যখন নানা ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলের উপর প্রতিদিন বিরোধীদের আক্রমণ নেমে আসছে। ইদানিং দলের একটা অংশের “অসমর্থনযোগ্য” কীর্তিকলাপ তৃণমূলকে অস্বস্তির মুখে ফেলেছে, বিড়ম্বনা বাড়ছে। সাম্প্রতিক এই সব পরিস্থিতির বিচার বিশ্লেষণ করেই তৃণমূল নেত্রী কোনও বার্তা দিতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের রণকৌশলও এই বৈঠকেই নেত্রী নির্ধারণ করে দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
সংখ্যালঘু এলাকায় ভোটের ফল খারাপ হওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা। ইতিমধ্যেই সাগরদিঘি উপনির্বাচনের হারের পর্যালোচনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। হারের কারণ জানিয়ে চার সদস্যের কমিটি নেত্রীকে রিপোর্ট দিয়েছে। রাজ্যের আরও কোথাও যাতে এই ভোটের প্রভাব না পড়ে সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য দলকে নির্দেশ দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই বৈঠক থেকেই পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু করার বার্তা দিতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। বিশেষ করে প্রার্থী বাছাইয়ে দলের অবস্থান ও সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। ২০১৮ সালের মতো পঞ্চায়েত ভোটে যেন অশান্তির বাতাবরণ তৈরি না হয়, সেফিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়ার কথা বলতে পারেন নেত্রী।


দুর্নীতির প্রশ্নে দলের অবস্থান জিরো টলারেন্স। যে বা যারা এই কাজে যুক্ত থাকবেন দল তাদের পাশে থাকবে না, সেটি ফের একবার স্পষ্ট করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচী থেকে মানুষের সমস্যা, চাহিদা নিয়ে সার্বিকভাবে যে রিপোর্ট উঠে এসেছে এই বৈঠকে তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাশাপাশি রাজ্য সরকারের ঢালাও উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে আরও জনপ্রিয় ও প্রচারের আলোয় আনার জন্য দলকে নির্দেশ দিতে পারেন তিনি।

১০০দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রের বঞ্চনা মানুষের সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি ডিএ আন্দোলন নিয়ে রাজনৈতিক মোকাবিলায় দিক নির্দেশ করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


সবমিলিয়ে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত ভোটকে অ্যাসিড টেস্ট ধরে নিয়ে দলীয় নেতাদের রূপরেখা তৈরি করে দিতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
