মালিকপক্ষ চাইলে বন্ধ সংস্থা খুলতে সাহায্য করবে রাজ্য: মলয়, কর্মদিবস নষ্টের বিরুদ্ধে ঋতব্রত

বন্ধ হয়ে যাওয়া কোনও বেসরকারি শিল্প সংস্থা যদি আইন মেনে আবার চালু করতে চায় মালিকপক্ষ, তবে সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে রাজ্য। মঙ্গলবার বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত এক আলোচনাসভায় এই আশ্বাস দিলেন রাজ্যের শ্রম, আইন ও বিচারমন্ত্রী মলয় ঘটক (Maloy Ghatak)। এই মত বিনিময় সভাতেই INTTUC রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Ritabrata Bandopadhyay) জানান, শ্রমিকপক্ষের দাবিদাওয়া এবং মালিকপক্ষের বক্তব্য- এই নিয়ে হাজারবার আলোচনা চলতেই পারে। কিন্তু তাই বলে একটা কর্মদিবস বা ম্যান-ডে তো দূরের কথা, নষ্ট করা চলবে না ম্যান-সেকেন্ডও। এদিনের মতবিনিময় সভার বিষয় ছিল শ্রম আইন।

 

 

বামজমানায় লাগামছাড়া আগ্রাসী ট্রেড ইউনিয়নই যে রাজ্যে শিল্পে সর্বনাশ ডেকে এনেছে তা মনে করিয়ে দিয়ে শ্রমমন্ত্রী বণিকসভার শিল্পদ্যোগীদের বলেন, “কেন্দ্রের অসহযোগিতা ও ভ্রান্তনীতি সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত আগ্রহ ও উদ্যোগে শিল্পের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে বাংলায়। শিল্পে ধর্মঘটের সেই অন্ধকার আর নেই। আপনারা নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করুন।” তবে শ্রমিকের ন্যায্য অধিকারের প্রশ্নে যে কোনও আপস নয়, এটাও বুঝিয়ে দেন মন্ত্রী।

মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনেই উৎপাদনশীলতার স্বার্থেই শ্রমিকদের দিনে ৮ ঘণ্টার কাজের অধিকারের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, কেন্দ্র এই অধিকার খর্ব করে দিনে ১২ ঘণ্টা কাজের বোঝা চাপিয়ে দিলেও রাজ্য তা মেনে নেয়নি। মন্ত্রীর বক্তব্য, জরুরি প্রয়োজনে ১২ ঘণ্টা কাজ করানো হলে অবশ্যই দিতে হবে ওভারটাইম। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক কল্যাণ প্রসঙ্গে প্রথম পর্যায়ে উত্তরের ১১১চা বাগানে ৭০টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ৪০টি ক্রেশ গড়ে তোলার কথা জানান শ্রমিকনেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন BNCCI সভাপতি দেবাশিস দত্ত। বক্তব্য পেশ করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আশিস পাল।

আরও পড়ুন- কেষ্টর মাথা থেকে এবার হাত তুলতে চলেছে তৃণমূল? রাজ্যের মন্ত্রীর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য

 

Previous articleকেষ্টর মাথা থেকে এবার হাত তুলতে চলেছে তৃণমূল? রাজ্যের মন্ত্রীর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য
Next article৩ বছরে আরও ১০০ টি শিল্প পার্ক তৈরির লক্ষ্যমাত্রা রাজ্যের, কোন কোন জেলায় হবে?