DA আন্দোলনের অজুহাতে সেনাকে দিয়ে তৃণমূলের ছাত্র-যুব সমাবেশ বানচালের চেষ্টা কেন্দ্রের!

পুলিশের তরফে ডিএ আন্দোলনকারীদের ২৯ তারিখ ধর্না কর্মসূচি বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তাতে রাজি নন আন্দোলনকারীরা।

সেনা বাহিনীকে দিয়ে তৃণমূলের ছাত্র-যুব সমাবেশে ভন্ডুল করার চেষ্টা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের! ২৯ মার্চ ধর্মতলার শহিদ মিনারে তৃণমূলের (TMC) ছাত্র-যুব সমাবেশ। প্রধান বক্তা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিন্তু সেই সেই সভার অনুমতি ঘিরে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সেনার তরফে এখনও সভার অনুমতি মেলেনি। বিজেপি (BJP) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে দিয়ে এটা করাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। অনুমতি পাওয়ায় না গেলে তারা আদালতে যাবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল।

২৯ মার্চ শহিদ মিনারে তৃণমূল যুবদের কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে রয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। একই জায়গায় ২টি কর্মসূচি নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। পুলিশের তরফে ডিএ আন্দোলনকারীদের ২৯ তারিখ ধর্না কর্মসূচি বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তাতে রাজি নন আন্দোলনকারীরা। শহিদ মিনার-সহ চত্বরটি ভারতীয় সেনা বাহিনীর অধীনে। ফলে সেখানে কোনও সভা করতে গেলে তাদের অনুমতি লাগে। এদিকে, ডিএ আন্দোলনকারীদের ধর্নার অজুহাতে অভিষেকের সভার অনুমতি এখনও দেয়নি সেনা বাহিনী। তৃণমূলের চিঠি জবাবে পাল্টা চিঠি দিয়ে সেনা জানিয়েছে, ডিএ আন্দোলনকারীরা হাইকোর্টের অনুমতিতে আন্দোলন করছে। সেখানে কীভাবে সভা করা সম্ভব!

বৃহস্পতিবার, সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “একদিনের জন্য সৌজন্য দেখানো উচিত ছিল আন্দোলনকারীদের। একই জায়গায় কেউ যদি দীর্ঘদিন আন্দোলন করেন, তো সেই জায়গায় অন্য কেউ সভা করতে পারবে না, তা হয়!“ বিজেপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে দিয়ে এটা করিয়েছে বলে অভিযোগ করেন কুণাল। সেনা যদি শেষ পর্যন্ত অনুমতি না দেয় তবে তৃণমূল আদালতের দ্বারস্থ হবে বলে সূত্রের খবর।

 

Previous articleঅজিদের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ হারতেই শীর্ষ স্থান হারাল ভারত
Next articleপার্থর গলায় চেনা দাপট! ফের ৩০ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজত