Friday, August 22, 2025

২৫ মার্চ ‘বিশ্ব গণহ*ত্যা দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করুক রাষ্ট্রপুঞ্জ, আর্জি বাংলাদেশের

Date:

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাত বাঙালি কখনো ভুলতে পারে না। সারা দিন মানুষের কেটেছিল উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায়। ২০১৭ সাল থেকেই ২৫ মার্চ দিনটিকে ‘বাংলাদেশ গণহত্যা দিবস’ হিসাবে পালন করে আসছে বাংলাদেশ।
৭ মার্চের ভাষণে দেশবাসী এককাট্টা হয়ে অনন্য এক অহিংস আন্দোলন সূচনা করেছিল, যে অহিংস আন্দোলনের পরতে পরতে জড়িয়ে ছিল সশস্ত্র প্রস্তুতি ও প্রতিরোধ।যে কোনও মুহূর্তে নিরস্ত্র গণতান্ত্রিক আন্দোলন রূপ নিতে পারে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের, সেটা মানুষ বুঝে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু খোলা রেখেছিলেন আলোচনার সুযোগ এবং খুলে দিয়েছিলেন প্রতিরোধের পথ।
এই সংঘাতময় পরিস্থিতিতে আঘাত হেনেছিল পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী।২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী অসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল বটে, তবে যুদ্ধের নিয়মকানুনের কোনও তোয়াক্কা তারা করেনি। তারা আঘাত হেনেছিল সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে, আর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল যথেচ্ছ। এই বর্বরতা সব সীমা অতিক্রম করেছিল, রূপ নিয়েছিল ভয়ংকর নিষ্ঠুরতার, যা এতই নিষ্ঠুর যে এর বর্ণনার ভাষা ছিল না। যারাই বাঙালি জাতিচেতনায় বিশ্বাসী, তারাই হয়েছিলেন আক্রমণের শিকার।
রাষ্ট্রপুঞ্জে বাংলাদেশ আর্জি জানাল , ‘বিশ্ব গণহত্যা দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করা হোক ২৫ মার্চ দিনটিকে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত নিরীহ মানুষের উপর যে ‘অত্যাচার’ চালিয়েছে, সেটিকে গণহত্যা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ারও দাবি তুলেছে শেখ হাসিনার সরকার।
জেনেভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরের সামনেও বাংলাদেশের বেশ কিছু সংগঠন ২৫ মার্চ দিনটিকে ‘বাংলাদেশ গণহত্যা দিবস’ হিসাবে স্বীকৃতির দাবিতে সরব হয়।মুক্তিযুদ্ধের শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল সাবেক পাকিস্তান।
শনিবার বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, “আজকের দিনেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী মধ্যরাতে দেশের নিরস্ত্র মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ৯ মাস ধরে তারা ৯০ লক্ষ নরনারীকে হত্যা করছে। আমাদের মনে হয় এমন নৃশংস গণহত্যার ঘটনা বিশ্বে আর কোথাও ঘটেনি।”
বাংলাদেশের (সে সময়কার পূর্ব পাকিস্তান) জাতীয়তাবাদীদের দমন করে ওই দিনেই অপারেশন সার্চলাইট শুরু করেছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী। পরে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের তরফে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়, তাদের পাশে দাঁড়ায় ভারতের সেনাবাহিনী।

 

Related articles

আইনি জটিলতা কাটিয়ে স্নাতকের মেধাতালিকা প্রকাশ, শুরু হচ্ছে ভর্তি: জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

আইনি জটিলতা কাটিয়ে স্নাতকস্তরে প্রকাশিত হল অনলাইনে পোর্টালে ভর্তির ফলাফল। শুক্রবার ফল (Result) প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ভর্তি প্রক্রিয়া...

কিছু হাই কোর্টের বিচারপতির কর্তব্যবোধ কম পড়ছে: মত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির

একাধিক হাই কোর্টের বিচারপতিদের স্বরূপ বাংলায় অনেক আগেই খুলে গিয়েছে, যখন হাই কোর্টের বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে...

মোদিজি আসুন বাংলার উন্নয়ন দেখে যান: কটাক্ষ চন্দ্রিমার

“ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে আবার আসতে শুরু করেছেন। এবার থেমে থাকুন দাদা।“ নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া...

স্বপ্নভঙ্গ নয়, মুক্তির লড়াই: জাতীয় স্তরের রেফারি হলেন গোপীবল্লভপুরের মনি খিলাড়ি

এ গল্প কোনো স্বপ্নভঙ্গের নয়, বরং শৃঙ্খল ভাঙার গল্প। কনকনে শীতের রাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে নিজের বিয়ে ভেঙে...
Exit mobile version