Monday, August 25, 2025

২৫ মার্চ ‘বিশ্ব গণহ*ত্যা দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করুক রাষ্ট্রপুঞ্জ, আর্জি বাংলাদেশের

Date:

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাত বাঙালি কখনো ভুলতে পারে না। সারা দিন মানুষের কেটেছিল উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায়। ২০১৭ সাল থেকেই ২৫ মার্চ দিনটিকে ‘বাংলাদেশ গণহত্যা দিবস’ হিসাবে পালন করে আসছে বাংলাদেশ।
৭ মার্চের ভাষণে দেশবাসী এককাট্টা হয়ে অনন্য এক অহিংস আন্দোলন সূচনা করেছিল, যে অহিংস আন্দোলনের পরতে পরতে জড়িয়ে ছিল সশস্ত্র প্রস্তুতি ও প্রতিরোধ।যে কোনও মুহূর্তে নিরস্ত্র গণতান্ত্রিক আন্দোলন রূপ নিতে পারে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের, সেটা মানুষ বুঝে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু খোলা রেখেছিলেন আলোচনার সুযোগ এবং খুলে দিয়েছিলেন প্রতিরোধের পথ।
এই সংঘাতময় পরিস্থিতিতে আঘাত হেনেছিল পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী।২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী অসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল বটে, তবে যুদ্ধের নিয়মকানুনের কোনও তোয়াক্কা তারা করেনি। তারা আঘাত হেনেছিল সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে, আর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল যথেচ্ছ। এই বর্বরতা সব সীমা অতিক্রম করেছিল, রূপ নিয়েছিল ভয়ংকর নিষ্ঠুরতার, যা এতই নিষ্ঠুর যে এর বর্ণনার ভাষা ছিল না। যারাই বাঙালি জাতিচেতনায় বিশ্বাসী, তারাই হয়েছিলেন আক্রমণের শিকার।
রাষ্ট্রপুঞ্জে বাংলাদেশ আর্জি জানাল , ‘বিশ্ব গণহত্যা দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করা হোক ২৫ মার্চ দিনটিকে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত নিরীহ মানুষের উপর যে ‘অত্যাচার’ চালিয়েছে, সেটিকে গণহত্যা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ারও দাবি তুলেছে শেখ হাসিনার সরকার।
জেনেভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরের সামনেও বাংলাদেশের বেশ কিছু সংগঠন ২৫ মার্চ দিনটিকে ‘বাংলাদেশ গণহত্যা দিবস’ হিসাবে স্বীকৃতির দাবিতে সরব হয়।মুক্তিযুদ্ধের শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল সাবেক পাকিস্তান।
শনিবার বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, “আজকের দিনেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী মধ্যরাতে দেশের নিরস্ত্র মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ৯ মাস ধরে তারা ৯০ লক্ষ নরনারীকে হত্যা করছে। আমাদের মনে হয় এমন নৃশংস গণহত্যার ঘটনা বিশ্বে আর কোথাও ঘটেনি।”
বাংলাদেশের (সে সময়কার পূর্ব পাকিস্তান) জাতীয়তাবাদীদের দমন করে ওই দিনেই অপারেশন সার্চলাইট শুরু করেছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী। পরে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের তরফে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়, তাদের পাশে দাঁড়ায় ভারতের সেনাবাহিনী।

 

Related articles

কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি: দু-মলাটে বাংলার দুর্গোৎসবের ৪৩৪ বছরের ইতিহাস

রবিবাসরীয় সন্ধেয় গড়িয়াহাটের একটি ব্যাঙ্কয়েটে আড্ডার আবহে প্রকাশিত হল সাংবাদিক-লেখক সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের বই 'কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি'। উপস্থিত...

তৃণমূল–সমাজবাদী পার্টির পথে এবার আম আদমি পার্টি! জেপিসিতে থাকছে না আপও 

সংবিধান সংশোধনী বিল খতিয়ে দেখতে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিল আম আদমি পার্টি।...

মোদির বিরুদ্ধে সরব! হিটলারি কোপে লাদাখের সোনম ওয়াংচু

দফা এক দাবি এক। লাদাখের জন্য একই দাবিতে আজও অনড় সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচু (Sonam Wangchuk)। লাদাখের জমি, যা...

শান্তিপুরে মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ভোটে গোহারা বিজেপি! ২৬-৪-এ জয়ী তৃণমূল 

এসআইআর ইস্যু নিয়ে রাজ্যে বিজেপির মাতামাতির মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার কমিটির নির্বাচনে বড় সাফল্য পেল...
Exit mobile version