Wednesday, December 3, 2025

“সুজনের স্ত্রীর চাকরি আমার সামনেই পার্টির সুপারিশে হয়েছে”, দাবি প্রাক্তন CMP নেতার

Date:

Share post:

সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলিদেবীর কলেজে চাকরিটি পার্টির সুপারিশেই হয়েছিল, স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন সিপিএম নেতা সমীর পুততুণ্ড। নব্বইয়ের দশকে সিপিএম যখন বাংলার আকাশে মধ্য গগনের সূর্য, তখনই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পার্টির সম্পাদক ছিলেন সমীর পুততুণ্ড। তাঁর দাবি, সুজনের স্ত্রীর চাকরির পিছনে দলগতভাবে তাঁরও হাত ছিল। সেই সঙ্গে আরও দাবি করেন, এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না, বাম জমানায় এইভাবে হাজার হাজার চাকরি হয়েছে। তাই শুধু সুজন নয়, খুঁজলে চাকরি দুর্নীতিতে উঠে আসবে সেই সময়কার আরও অনেক রাঘব বোয়ালের নাম। যোগ্যদের বাদ দিয়ে ভুরি ভুরি নিয়োগ হয়েছিল বাম জমানায়, তাঁর সবটাই জানেন বলে দাবি করেন সমীরবাবু।সুজনের সঙ্গে বিয়ের আগে ১৯৮৭ সালে মিলির চাকরির জন্য সুপারিশ গিয়েছিল সিপিএমের তরফেই। সুজন দলের সর্বক্ষণের কর্মী হবেন, তাঁর হবু স্ত্রীর জন্য চাকরির প্রয়োজন ছিল। সমীরের দাবি, “মিলিকে আমি চিনি। সে সময়ে আলোচনার মধ্যে আমিও ছিলাম। একটা ছেলে দলের জন্য কাজ করছে, তার পরিবারকে সহায়তা দেওয়া দলের নীতি ছিল। অনেকের ক্ষেত্রেই এটা হয়েছে। এটা দলের নীতি, এখানে বিরোধিতা করার কোনও পরিস্থিতি ছিল না। এটা সহজ করে বলাই ভাল।”সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি কীভাবে হয়েছিল সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সমীরবাবু বলেন, “আমি অস্বীকার করতে পারব না, আমি তখন জেলা নেতৃত্বে ছিলাম। আমি ১৯৮৫ সাল থেকে রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলাম। ৯৩ সাল থেকে জেলা সেক্রেটারি হয়েছি। এটা সে সময়েরই ঘটনা, সুজনের বিয়ের আগের ঘটনা। আমায় তখন বারবার ইনসিস্ট করেছিল, মিলির চাকরিটা হয়ে গেলে সুজনদের সুবিধা হবে। তখন গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে কাজের একটা সুযোগ ছিল। করে দিলাম।”

 

 

spot_img

Related articles

জেলা সফরে বহরমপুরে মুখ্যমন্ত্রী: বুধের সভার জন্য প্রস্তুত মালদহের গাজোল

মঙ্গলবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক শেষেই জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী। পৌঁছে যান মুর্শিদাবাদে বহরমপুরে। বুধবার সকালে  তিনি হেলিকপ্টারে করে উড়ে...

নিভৃতে… খাদ্যহীন! যার জন্য দেশে সূ্ত্রপাত ‘নারী আন্দোলনে’র, সেই ‘মথুরা’ই দুরবস্থায় মহারাষ্ট্রে

সেই সালটা ১৯৭২। এখন ২০২৫। মাঝে পেরিয়েছে ৫৩ বছর। এর মধ্যে তাঁকে ভুলেই গিয়েছে গোটা দেশ। হঠাৎ মনে...

বুধেই ভাগ্য নির্ধারণ! বাংলাদেশে বসে ফেরার অপেক্ষায় অন্তঃসত্ত্বা সোনালি

বাংলাদেশে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। ফলে জেলমুক্তি ঘটেছে। কিন্তু নিজের দেশে, নিজের ঘরে ফেরা কবে? আজও জানেন না বীরভূমের...

প্রশাসনিক গতি ফেরাতে যাদবপুরে দুই মাসের অস্থায়ী রেজিস্ট্রার সেলিম বক্স মন্ডল

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম দীর্ঘদিন ধরে রেজিস্ট্রার শূন্য থাকার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছিল। কর্মসমিতির বৈঠক হলেও রেজিস্ট্রার অনুপস্থিত থাকায়...