Thursday, August 21, 2025

সুজনের পর সুশান্তের বিরুদ্ধে চাকরি চুরির অভিযোগ, পরিবারের ২০ জনের তালিকা ফাঁস

Date:

সুজন চক্রবর্তীর পর এবার সুশান্ত ঘোষ। সিপিএম জমানায় চাকরি কেলেঙ্কারি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কখনও চিরকুটে, কখনও সুপারিশে, কখনও আবার হুমকি দিয়ে চাকরি চুরির অভিযোগ উঠছে সিপিএম তথা বাম নেতাদের বিরুদ্ধে। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে আসছে কেউটে। উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য!

অভিযোগ, নিজের পরিবার ও আত্মীয়দের অনেককেই শুধুমাত্র সুপারিশ করে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বাম জমানার প্রাক্তন মন্ত্রী তথা পশ্চিম মেদনীপুরের তৎকালীন দোর্দন্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ। সেই সময়ে চাকরি চুরির একটি তালিকাও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তালিকায় সুশান্ত ঘোষের এমন ২০জন নিকট আত্মীয়ের নাম রয়েছে, যাঁরা বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি করেন বা করতেন বলে দাবি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে সঠিক তদন্তের জন্য আবেদন জানাবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি।

সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ বাম জামানায় দীর্ঘদিনের মন্ত্রী ছিলেন। বিরোধীরা বলতেন, ঝড় হলেও সুশান্ত ঘোষের নির্দেশ ছাড়া গড়বেতায় গাছের পাতা নড়ে না! এতটাই ছিল তাঁর প্রভাব, যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বাঘের গরুতে এক ঘাটে জল খাওয়াতেন এই সিপিএম নেতা। সেই সুশান্ত ঘোষ বাম আমলে ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে নিকটাত্মীয়দের চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ

ভাইরাল হওয়া ওই তালিকায় দাবি করা হয়েছে, বাম জমানায় স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন সুশান্ত ঘোষের স্ত্রী। সুশান্তবাবুর বোনেদের মধ্যে অনেকেই সরকারি চাকরি করতেন। কেউ স্কুলে শিক্ষকতা করেন, কেউ আইসিডিএস-এ সুপারভাইজার। শুধু তাই নয়, প্রভাব খাটিয়ে বোনেদের স্বামীদেরও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এক বোনের স্বামী মেদিনীপুর প্রাইমারি বোর্ডে চাকরি করেন। আর এক বোনের স্বামী প্রাইমারি স্কুলে এবং এক ভগ্নিপতি সেচদপ্তরে চাকরি করেন।

এছাড়াও সুশান্ত ঘোষের মামার বাড়ির পরিবারে একাধিকজন সরকারি চাকরি করেন। এক ভাগ্নে হাইস্কুলের লাইব্রেরিয়ান, আর এক ভাগ্নে সেচদপ্তরে চাকরি করেন। সুশান্তবাবুর পিসতুতো ভাই, মাসতুতো ভাইয়েদেরও কেউ পরিবহণ দপ্তরে, কেউ স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি করেন।
এখানেই শেষ নয়, সুশান্ত ঘোষের শ্যালক, শ্যালিকাদের প্রায় প্রত্যেকেই সরকারি চাকরির সঙ্গে যুক্ত। এমনকী শ্যালিকার স্বামীর ভাইয়েরা পর্যন্ত সরকারি চাকরি করেন। সুশান্তবাবুর বড় শ্যালক অরবিন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় আবার জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। ওই তালিকায় দাবি করা হয়েছে, তৎকালীন জেলা সম্পাদক দীপক সরকারের স্নেহের পাত্র এইসব কাজের পাশাপাশি ২০০৮, ২০০৯ এবং ২০১০ সালে প্রাইমারিতে লক্ষ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি করেছেন।

 

 

Related articles

‘নোরা ফাতেহি’ হতে হবে! স্ত্রীকে জোর করে শরীরচর্চা করিয়ে গর্ভপাত শিক্ষকের

যোগীরাজ্যে স্কুলশিক্ষকের ফ্যান্টাসির চূড়ান্ত নমুনা! স্ত্রীকে হতে হবে রোগা ছিপছিপে চেহারার। আর সেই চেহারা বানাতে গিয়েই স্বামীর নির্মম...

গান-কবিতায় সংসদে সরব তৃণমূল! বয়কট রাজ্যসভার চা-চক্র

বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শেষ দিনে সংসদ উত্তাল হল বাংলা গান, কবিতা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদে। সংসদের অন্দরে যেমন কালাকানুন, এসআইআর, ভাষাসন্ত্রাসের...

নওশাদ-সহ আইএসএফ সমর্থকদের জামিন দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত

ধর্মতলার কর্মসূচির নামে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা। বুধবার গ্রেফতার করা হয় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Naushad Siddiqui)। বৃহস্পতিবার নওশাদ-সহ...

নোবেল খুঁজতে ব্যর্থ CBI, রাজ্য পুলিশ উদ্ধার করল বুলার পদ্মশ্রী: পুলিশও পদক পাক চান সাঁতারু

হুগলির হিন্দমোটরে সাঁতারু বুলা চৌধুরীর বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া পদক অবশেষে উদ্ধার করল রাজ্য পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছে...
Exit mobile version