‘প্রিয় বন্ধু’র থেকে দূরে সরে যেতে হয়েছে, তাই মন খারাপের মরসুমে মুখে কিছুই তুলছে না বিরল প্রজাতির সারস (A rare species of crane)। উত্তরপ্রদেশের কৃষক’বন্ধু’ মহম্মদ আরিফকে (Md Arif)নেট দুনিয়ায় সকলেই চেনেন। ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ আইনের (Wildlife Act)অধীনে মামলা রুজু হয়েছে আরিফের বিরুদ্ধে। অভিযোগ কী? বন্যপ্রাণীকে নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন আরিফ। আসলে তিনি বিরল প্রজাতির একটি সারসকে (A rare species of crane) অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করার পর চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলেছিলেন। এরপরই গড়ে ওঠে এক অসম অমলিন বন্ধুত্ব। যার সাক্ষী হয়েছিল নেট দুনিয়া। কিন্তু বন্যপ্রাণীকে নিজের কাছে রাখা যে অপরাধ তাই মোটা টাকার জরিমানার পাশাপাশি মামলা হয়েছে তাঁর নামে। স্বভাবতই বন্যপ্রাণী দফতর কানপুরের এক চিড়িয়াখানায় (Kanpur Zoo)নিয়ে গেছে তাকে। কিন্তু সেখানে গিয়ে মনমরা সারস। বন্ধু যে নেই, হয়তো মানুষের স্পর্শে সে খুঁজে চলেছে ‘ প্রিয় বন্ধু’র ছোঁয়া।
চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর সারস প্রায় ৪০ ঘণ্টা কিছুই মুখে তোলেনি। কোনও মানুষ দেখলেই সে যেন তার বন্ধুকে খুঁজতে চাইছে। ২ কেজি জ্যান্ত মাছ খেতে দেওয়া হয়েছিল সারসটিকে। কিন্তু সেইদিকে ফিরেও তাকায়নি সে। রবিবার সন্ধেবেলায় অবশেষে কিছু খেতে দেখা যায় তাকে। কিন্তু আরিফ কী বলছেন? বন্যপ্রাণীকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু তিনি বলছেন পাখিটিকে কোনও দিনই বেঁধে রাখা হয়নি। জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও লাভ হয়নি কারণ ততদিনে একটা দারুণ বন্ধুত্ব হয়ে গেছিল। হয়তো সেটাই ভুল ছিল, আক্ষেপ আরিফের। কিন্তু সারস কি কোনভাবেই চিড়িয়াখানার পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারবে? চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের আশা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে মানুষ আর না- মানুষের বন্ধুত্বের গল্পে চোখ ভিজেছে নেট নাগরিকদের।