রাস্তার কুকুরদের সঙ্গে নি*ষ্ঠুর আচরণ মানা যায়না! জানাল বম্বে হাইকোর্ট

রাস্তার কুকুরের সঙ্গে নিষ্ঠুর ব্যবহার মানা যায় না। জানিয়ে দিল বম্বে হাইকোর্ট।পথকুকুরদের নিয়ে এক মামলার শুনানিতে আদালত জানায়, রাস্তার কুকুরদের ঘৃণা করা বা তাদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা সভ্য সমাজের কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে মানা যায় না। এটা সাংবিধানিক নিয়মের পরিপন্থী।
এর পাশাপাশি রাস্তার কুকুরদের যাঁরা যত্ন করছেন তাদেরকেও আটকানো কোনওভাবেই উচিত নয় বলে জানান বিচারপতি।

ঘটনার সূত্রপাত মুম্বইয়ের একটি আবাসনের এক আবাসিক পথ কুকুরকে খেতে দেওয়া নিয়ে। এই নিয়ে আবাসনের অন্যান্যদের সঙ্গে ঝামেলা বাঁধে ওই আবাসিকের। বিবাদ এতটাই চরমে ওঠে যে জল আদালত পর্যন্ত পৌঁছয় ।

জানা গেছে, ওই আবাসিকের নাম পারমিতা পুরথন। তিনি পশুপ্রেমী বলেই পরিচিত। ১৮টি রাস্তার কুকুরকে প্রতিপালন করেন। তিনি তাঁর আবাসনে পথ কুকুরদের দেখাশোনা করতেন। তিনিই এই মামলাটি করেছিলেন। তাঁর দাবি, তাঁকে কুকুরদের খাওয়ানোর ক্ষেত্রে তাঁকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকী কুকুরদের খেতে দেওয়ার জন্য একটি জায়গা নির্দিষ্ট করেছিলেন। কিন্তু সেখানেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি জিএস কুলকার্নি ও আরএন লাদ্ধার ডিভিশন বেঞ্চ আবাসিকের ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে বিবাদ নিজেদের মধ্যেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিটিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন।পাশাপাশি তিনি বলেন, পথ কুকুরদেরও প্রাণ আছে। ওরাও সমাজের অংশ। তাদেরও যত্ন নিতে হবে।

মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি কুকুরপ্রেমীদের প্রসঙ্গ টেনে আনেন।তিনি বলেন, আদালতের আইনজীবী ও বিচারপতিরাও হাইকোর্ট বিল্ডিং চত্বরে অনেক সময় পথকুকুর ও বিড়ালদের দেখভাল করেন। বিচারপতি কুলকার্নি এও বলেন, হাইকোর্ট চত্বরে আপনি একটু ঘুরে দেখুন। দেখবেন কত বিড়াল ঘুরে বেড়াচ্ছে। মাঝেমধ্যে আবার ডায়াসেও চলে আসে। ওদের আপনি যেকোনও জায়গায় সরিয়ে দিন। আবার ঠিক ফিরে আসবে তারা।

সেইসঙ্গে বিচারপতি কুকুরপ্রেমীদের প্রসঙ্গ টেনে এক বিচারপতির উদাহরণ দিয়ে বলেন, এখানে একজন বিচারপতি ছিলেন যিনি বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। তিনি কুকুরদের জন্য নিয়ম করে বিস্কুট নিয়ে আসতেন।কুকুরদের খাওয়াতেন। কুকুররাও তাঁর পেছনে পেছনে যেত।

 

 

Previous articleভদ্রেশ্বরে পারিবারিক ঝ.গড়ায় স্ত্রীকে কো.প, পলাতক ম.দ্যপ স্বামী
Next articleআরও সহজ আমেরিকা যাত্রা! কী জানাল মার্কিন সেনেট?