পড়ুয়াদের হারিয়ে যাওয়া জীবনের স্মৃতি ফেরাল IB Fraternity

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাইকোলজিস্ট সাগরিকা রায় (Sagarika Roy),সাইকোলজিস্ট তথা গ্রাফোলজিস্ট মৃণালিনী মুখার্জি এবং Neo Spine & Mind Clinic এর অন্যতম কর্ণধার তথা ফ্যামিলি থেরাপিস্ট অনন্যা সেনগুপ্ত।

কোভি*ডে বদলে যাওয়া জীবনযাত্রার মধ্যেই হারিয়ে গেছে ছেলে-মেয়েরা মাঠে গিয়ে খেলাধুলো করার অভ্যাস। নেটের উপর ভরসা করে জীবন এখন পুরোটাই যেন অনলাইনে আটকে গেছে। নিউ নরম্যাল জীবন যাত্রায় কেমন প্রভাব পড়েছে ইলেকট্রনিক মাধ্যমের ? কোভিড পরবর্তী সময়ে ছাত্র – ছাত্রীদের মানসিকতার টুকরো ছবি বিশ্লেষণ করল IB Fraternity। সম্প্রতি মধ্য কলকাতার রামমোহন হলে আয়োজিত হল “কোভিড পরবর্তী সময়ে ছাত্র – ছাত্রীদের মননশীলতার উপর ইলেকট্রনিক মাধ্যমের প্রভাব” শীর্ষক একটি সেমিনার। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাইকোলজিস্ট সাগরিকা রায় (Sagarika Roy),সাইকোলজিস্ট তথা গ্রাফোলজিস্ট মৃণালিনী মুখার্জি এবং Neo Spine & Mind Clinic এর অন্যতম কর্ণধার তথা ফ্যামিলি থেরাপিস্ট অনন্যা সেনগুপ্ত।

IB Fraternity- এর তরফ থেকে বলা হয় কোভিড কাল থেকেই অনলাইনে পড়াশনা করতে করতে কেমন যেন একটা মোবাইল আর ল্যাপটপের জগত তৈরি হয়ে গেছে। গান শোনা, সিনেমা দেখা থেকে গেমিং প্ল্যাটফর্ম- সব ক্ষেত্রেই ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের দাপট বেড়েছে। এসবের প্রভাব পড়েছে পঠন পাঠনে, রেজাল্ট খারাপ হচ্ছে, পড়াশুনোয় ব্যাপক হারে মনযোগ কমেছে ছাত্র-ছাত্রীদের। এই সব কিছু নিয়েই ৩ ঘন্টা ব্যাপী এই সেমিনার আয়োজিত হয়। বর্তমানে পড়ুয়াদের স্বাভাবিক দৈনন্দিন ব্যবহারেও ব্যাপক পরিবর্তনও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে আক্রমণাত্মক বাচনভঙ্গি, নিম্নমুখী সহনশীলতা, মুখে কু-কথার ব্যবহার আজকের চেনা ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন পড়ুয়াদের মধ্যে অবসাদ এবং আত্মহননের মনোভাব আগের থেকে অনেকটা বেড়ে গেছে । সেমিনারে এইসবের কারণ অনুসন্ধান, তার সম্ভাব্য প্রতিকার এবং বিভিন্ন প্র্যাকটিক্যাল কেস স্টাডি, ইন্টার‍্যাকশন সেশনের মধ্যে দিয়ে চলে প্রশ্ন উত্তর পর্ব।

অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা শিক্ষক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্য (Indranil Bhattacharya) জানান, আজকাল শিক্ষকরাও পড়াতে গিয়ে বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পড়ায় অনীহা চোখে পড়ছে। তিনি বলেন ছাত্র- শিক্ষক সম্পর্কের বাইরেও একটা আত্মিক টান রয়েছে একে অন্যের সঙ্গে। কিন্তু এখনকার মানসিকতা অনেকটাই বদলে গেছে। এই ধরণের উদ্যোগকে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বাগত জানিয়েছেন। পেশাগত ভাবে বিচার না করে যেভাবে সমাজ কল্যাণে এগিয়ে এসেছে এই সংস্থা তা নিঃসন্দেহে সাধুবাদযোগ্য।

 

Previous articleমমতার ধর্না মঞ্চ থেকেও গর্জে উঠলেন অভিষেক, নিশানায় CPM-BJP-বিচারপতি
Next articleশ্যামবাজারে বিজেপির ধরনা মঞ্চে মাছি তাড়াচ্ছেন বঙ্গ নেতারা