পুলিশের নিষেধ না মেনে শিবপুরে সুকান্ত,কটাক্ষ কুণালের

শিবপুরের  পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।শুধুমাত্র তাই নয়, প্রশাসন কড়া হাতে পরিস্থিতি সামলানোয় দ্রুত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে শিবপুর। যদিও এখনও ১৪৪ ধারা জারি আছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রবিবার সকালে শিবপুরের উদ্দেশে রওনা হন।যদিও দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে পুলিশ তাকে আটকায় এবং যেতে নিষেধ করে।কিন্তু নাছোড় সুকান্ত পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন।পুলিশ তাকে জানায় যে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।

সুকান্তর প্রশ্ন, মন্ত্রী অরূপ রায়কে যেতে দেওয়া হয়েছিল কেন? তাঁর যুক্তি,  তিনি গেলে যদি পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে তবে মন্ত্রীর সময়ও ছিল। তাঁর কটাক্ষ, মন্ত্রী মার খাচ্ছেন। কাল ওঁর গাড়ি ভেঙেছে। ওঁর লোকজন মার খেয়েছেন। মন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করুন, তাঁর হাত কেটেছে কী ভাবে?

শেষপর্যন্ত শিবপুর যান বালুরঘাটের সাংসদ ।এলাকার একটি শীতলা মন্দিরে পুজো দেন। গন্ডগোলে আহত অঙ্কিত রানা এবং গৌরব দাসকে দেখতে যান তিনি। ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা তার। কিন্তু পুলিশ তাঁকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে,  ১৪৪ ধারা জারি আছে, কোনও ভাবেই তিনি যেতে পারবেন না। এই নিয়ে ফের পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান সুকান্ত।

সুকান্তর  হাওড়া সফরকে  মোটেও ভাল চোখে দেখছে না তৃণমূল। বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই গোঁ নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, কে কোথায় যাচ্ছেন, তাঁদের ব্যাপার। যে দল রামনবমীর দিন গণ্ডগোল করল।  সেই দলের সভাপতি যাচ্ছেন তা স্বাভাবিক নয়।বিজেপি রাজ্য সভাপতি হয়তো দেখতে যাচ্ছেন পরিকল্পনার ঠিকঠাক বাস্তবায়ন হয়েছে কি না। অথবা, নতুন করে প্ররোচনা দেওয়া যায় কি না। কুণাল আরও বলেন, অরূপ রাজ্যের মন্ত্রী। তিনি প্রশাসনের এক জন হিসেবে যেতে পারেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতির সঙ্গে তাঁর অবস্থানগত পার্থক্য রয়েছে।এটা হয় সুকান্তবাবু বুঝতে পারছেন না অথবা বুঝতে চাইছেন না।