হনুমান জয়ন্তী নিয়ে কোনও বক্তব্য পেশ করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজকুমার মান্থার নির্দেশ, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব হনুমান জয়ন্তী নিয়ে কোনও বক্তব্য রাখতে পারবেন না। কোনও অশান্তি এড়াতেই আদালতের এই কড়া পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

রামনবমীর মিছিল নিয়ে সোমবার রাত থেকে অশান্ত রিষড়া।এই ঘটনায় হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে মঙ্গলবার আবেদন জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী। সেই মামলার শুনানিতে বুধবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির পরামর্শ, রাজ্য পুলিশ না পারলে প্যারামিলিটারির সাহায্য নিন! আসন্ন হনুমান জয়ন্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের পর্যবেক্ষণ,চিকিৎসার থেকে প্রতিষেধক ভাল।গত ৮-৯ বছর ধরে কোনও ঘটনা ঘটেনি। দরজায় কড়া নাড়ছে হনুমান জয়ন্তী। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, রাজ্য পুলিশ না পারলে প্যারামিলিটারির সাহায্য নিন’ ।

বিচারপতি আরও বলেন, ‘ ডায়মন্ডহারবারের একজন বিচারক রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি দিয়েছেন। তিনি কর্মসূত্রে ডায়মন্ডহারবারে থাকলেও, তাঁর পরিবার শ্রীরামপুরে থাকে। তিনি নিজে থানা এবং পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের কাছ থেকে সাহায্য চেয়ে পাননি। ২ ছেলে এবং মেয়েকে নিয়ে পরিবার শ্রীরামপুরে থাকে। তিনি হাইকোর্টের কাছে নিরাপত্তা চাইছেন’।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির মন্তব্য ‘ যাঁরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন, তাঁদের পরিবারের কি হবে? মানুষের মনে আস্থা ফেরানোর জন্য রুটমার্চ প্রয়োজন। শান্তি ফেরাতে কিছু করা দরকার। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও কেন্দ্রীয় টিম আসে, সেইরকম কিছু দরকার হলে প্রয়োজনীয় সাহায্য নিন’।


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রামনবমীকে কেন্দ্র করে শিবপুর ও রিষড়ায় যে অশান্তি দেখা দিয়েছে, তার জন্য আগেভাগেই পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হুনমান জয়ন্তীর দিন বিজেপি নতুন করে রাজ্যে অশান্তি বাঁধানোর পরিকল্পনা করতে পারে। তা যাতে না হয়, সেটা দেখতে হবে।

হনুমান জয়ন্তী নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘ এই ধরনের মিছিল কোনও যানবাহন নিয়ে করতে দেওয়া ঠিক নয়। নির্দিষ্ট রুট ঠিক করে মিছিলের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। বুধবার এমনই মন্তব্য করলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। মুম্বইতে গণেশ চতুর্থীর সময় ব্যারিকেড করে মিছিল নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। ‘

হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারি আইনজীবী সওয়াল করেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে যে কোনও সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যেতে পারে।
