Saturday, August 23, 2025

হনুমান জয়ন্তীতে ফের অশান্তি পাকানোর ছকে বিজেপি! দাবি শশী পাঁজার

Date:

Share post:

রামনবমীকে কেন্দ্র করে হাওড়ার, রিষড়ায় সহ রাজ্যের। বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ও অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের শাসক দলের তরফে সবক্ষেত্রেই অভিযোগের তির গিয়েছে বিজেপির দিকে। হাওড়াকাণ্ডে কড়া হাতে অশান্তির মোকাবিলা করেছে পুলিশ প্রশাসন। হাওড়াকাণ্ডে গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটেছে। এই অশান্তির আবহতেই এবার হনুমান জয়ন্তী পালনের ডাক দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। যা নিয়ে বাংলার বুকে নতুন করে অশনি সঙ্কেত তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেভাগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রামনবমীর মতো যেন হনুমান জয়ন্তীতে কোনও অশান্তি না হয়। অশান্তি পাকালে তা বরদাস্ত করা হবে না। মিছিল, শোভাযাত্রা করার অধিকার নিশ্চয় আছে, কিন্তু তাকে সামনে রেখে দাঙ্গা করার অধিকার কারও নেই।

আগামী শুক্রবার হনুমান জয়ন্তী। ওই দিনই আবার গুড ফ্রাই ডে। আবার পবিত্র রমজানের একটি জুম্মা বার। ফলে একটা অশান্তির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। আজ, বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে সেই আশঙ্কার কথা জানান রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।
তিনি বলেন, “রামনবমীকে কেন্দ্র করে গত ৪-৫ দিন ধরে যা ঘটানো হচ্ছে বা ঘটছে তা আপনারাও দেখছেন। আমরাও দেখছি। মানুষের সম্পত্তি পোড়ানো হচ্ছে, ভাঙচুর করা হচ্ছে। বিনা অনুমতিতে একটি ধর্মীয় মিছিল আমরা দেখলাম। বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সুকান্ত মজুমদার একবার বলছেন হাওড়ায় আটক যুবক সুমিত তাদের কেউ নয়। আবার বলছেন ও কি গুলি চালিয়েছিল? এভাবেই সমাজবিরোধী তৈরি করছে বিজেপি। ওই যুবকের হাতে যখন বন্দুক ছিল তখন তিনি তাকে নিষেধ করেননি কেন? হনুমান জয়ন্তী আসছে। আগামিদিনে ওরা ফের অশান্তি পাকানোর পরিকল্পনা করেছে।”

রাজ্যজুড়ে অশান্তির জন্য শশী পাঁজা সরাসরি বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁর কথায়, “বিজেপি যেটা করছে সেটা হল ভালচার পলিটিক্স। ঝাঁপিয়ে পড়ো। বাংলাটাকে অশান্ত করে দাও। তারপরেও বলছি বাংলা কোনও দাঙ্গার জায়গা নয়। মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে খুব কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন। সামনেই হনুমান জয়ন্তী। সারা বছর এতগুলো উৎসব হয়। এত ঠাকুরের বিসর্জন হয়। তাহলে কেন তারা মনে করছে রামনবমী বা হনুমান জয়ন্তীকে ব্যবহার করা যাবে! একে ধিক্কার জানাই।”

বিজেপিকে নিশানা করে শশী পাঁজা আরও বলেন, “রাজ্যে যে দুটি ঘটনা ঘটছে তার পেছনে রয়েছে বিজেপি। ওরা মেরুকরণের রাজনীতি করে। ওদের মুখে গুড ফ্রাই ডের কথা নেই কেন? পঞ্চায়েতের আগে বাংলাকে অশান্ত করতে দেওয়া হবে না। এসব থেকে নজর ঘোরাতেই কি চিত্রনাট্য তৈরি করে অশান্ত বাংলা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সুকান্ত বন্দুক নিতে বারণ করলেন না কেন ? প্রথমে অস্বীকার করলেন। তারপর বললেন বন্দুক থেকলেও গুলি তো চলেনি।”

spot_img

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...