সুনীল ছেত্রীদের পর ভারতীয় মহিলা টিমও দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। শুক্রবার বিশকেকের ডোলেন ওমুরজাকভ স্টেডিয়ামে কিরঘিজ প্রজাতন্ত্রকে ৪-০ উড়িয়ে দিয়ে ২০২৪ এএফসি মহিলা অলিম্পিক্স কোয়ালিফাইং টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গেল ভারত। চার দিনের ব্যবধানে ভারত টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতল।
তাঁরা দুই ম্যাচ মিলিয়ে মোট ৯-০ উড়িয়ে দিল কিরঘিজস্তানকে। প্রথম ম্যাচ তারা ৫-০ জিতেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ জনে খেলেও ৪-০ জয় ছিনিয়ে নেয়।
এদিন প্রথমার্ধে ১০ জন হয়ে যাওয়ার পরেও ভারতের মেয়েরা কিরঘিজস্তানের উপর নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছিল। জোড়া গোল করেন সন্ধ্যা রঙ্গনাথন। এবং অঞ্জু তামাং ও পরিবর্তে নামা রেনু একটি করে গোল করেন।
ব্লু টাইগ্রেসরা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল। এবং ভারত মাত্র ১৮ মিনিটের মধ্যেই গোলের মুখ খুলে ফেলে। বিপক্ষ গোলকিপারের পাশ কাটিয়ে শট নেওয়ার আগে দুই ডিফেন্ডারকে ডজ দিয়ে বল নিয়ে গোলের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন সন্ধ্যা। এর পর একদম মাপা শটে তিনি বল জালে জড়ান।
কয়েক মিনিট পরেই কিরঘিজস্তানকে দ্বিতীয় ধাক্কা দেয় ভারত। ২৪ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোল পায় টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচের ২৪ মিনিটে অঞ্জু তামাং হাফ ভলিতে ২-০ করেন। এর মাঝেই ধাক্কা খায় ভারত। এর মাঝেই আবার লালকার্ড দেখে বসেন কার্তিকা আঙ্গামুথু। তিনি কিরঘিজ অধিনায়ক আইজান বোরনবেকোভাকে বল ছাড়া ফাউল করে লালকার্ড দেখলে ভারত ১০ জন হয়ে পড়ে।
দশ জন হয়ে পড়ার পরেও ভারতের দাপট এতটুকু কমেনি। এ দিকে অঞ্জু এবং সন্ধ্যা ভারতের আক্রমণের ঝাঁজ এতটুকু কমেনি। তারা বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল।
প্রথমার্ধে তারা যেখানে শেষ করেছিল,দ্বিতীয়ার্ধেও সেখান থেকেই খেলা শুরু করে টিম ইন্ডিয়া। এবং ম্যাচের ৫৬ মিনিটে সন্ধ্যা নিজের দ্বিতীয় গোল করে ভারতকে ৩-০ এগিয়ে দেন। মিডফিল্ডার ইন্দুমাথি কাথিরসান বাঁ-দিক থেকে উপরে উঠেছিলেন এবং তিনি একটি নীচু ক্রস দেন সন্ধ্যাকে। সেটি ধরেই ৩-০ করেন সন্ধ্যা।আর কিরঘিজ প্রজাতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন পরিবর্তে নামা রেনু। প্রতিপক্ষ কিপারের মাথার উপর দিয়ে হেডে গোল করে ৪-০ করেন রেনু।
এমনিতেই ২০ পিছিয়ে পড়ার পরেই কিরঘিজস্তানকে সে ভাবে লড়াইয়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং দশ জনে খেলেও ভারতের মেয়েরাই নাস্তানাবুদ করেন কিরঘিজ ডিফেন্ডারদের।