খেমাশুলিতেও উঠল অবরোধ! নবান্নের সঙ্গে বৈঠকের পর পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত

গত কয়েকদিন ধরেই কুড়মিদের অবরোধের জেরে স্তব্ধ রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল। নবান্নের তরফে চিঠি পাওয়ার পর ১২০ ঘণ্টা পর রবিবারই পুরুলিয়ার কুস্তাউরে অবরোধ তুলে নিয়েছিলেন কুড়মিরা। তারপর রবিবার রাতেই পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিওতে উঠে গেল অবরোধ।

আরও পড়ুন:পঞ্চায়েতের আগে কেন্দ্র বিরোধী লড়াইয়ে সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল, জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে অভিষেক
পশ্চিম মেদিনীপুরের কুড়মি জেলা সভাপতি কমলেশ মাহাতো জানিয়েছেন, পুরুলিয়ার কুড়মি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।তবে অবরোধ উঠে গেলেও সোমবার নবান্নের বৈঠকের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে কুড়মিরা। তাঁদের বক্তব্য, আজ নবান্নের বৈঠকের পরই তাঁরা ঠিক করবেন আগামি দিনেও আন্দোলন চালিয়ে যাবেন কিনা।

সারনা ধর্ম এবং তফসিলি জনজাতি হিসেবে স্বীকৃতি চেয়ে গত ৫-৬ দিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছেন কুড়মিরা। গত ছ’দিন ধরে শ্যমাচুলির কাছে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে প্রতিবাদ জারি রয়েছে। যার ফলে ওই এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।অন্যদিকে, রেল অবরোধের জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি এবং পুরুলিয়ার কুস্তাউরে রেললাইন অবরুদ্ধ করে প্রতিবাদে বসেছিলেন কুড়মিরা। ফলে বাতিল হয়েছে একাধিক লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন।যার জেরে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। নাজেহাল হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করেন যাত্রীরা।

জেলা প্রশাসন এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে কুড়মি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনায় বসা হলেও প্রথম ৫ দিনে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। শনিবার রাতেও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন কুড়মি আন্দোলনের নেতৃত্ব। শেষমেশ রবিবার সকালে প্রথমে আন্দোলন তুলে নেওয়া হয় পুরুলিয়ায়। তারপর সন্ধ্যার পর খেমাশুলিতেও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় অবরোধ। তারপর ওই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।

কমলেশ মাহাতো জানিয়েছেন, তিনি নিজে পুরুলিয়া গিয়ে সেখানকার নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন। পুরুলিয়ার কুড়মি সমাজের নেতা অজিত মাহাতো রেল অবরোধ তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করার পরেই সেখান থেকে ফিরে এসে খেমাশুলিতেও অবরোধ তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি।
কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাতো রবিবার জানিয়েছিলেন, প্রচণ্ড গরম এবং অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখেই অবরোধ তুলে নেওয়া হচ্ছে। তবে অবরোধ আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। প্রশাসনের তরফে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা দেখার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।