আইআইটি মুম্বইয়ের ছাত্র মৃ.ত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য! তদন্তকারী দলকে চিঠি পরিবারের

সোলাঙ্কির বাবা রমেশ আরও জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে আইআইটি মুম্বইতে লেখাপড়া করার সময় অর্থাৎ ছাত্র থাকাকালীন তাঁকে জাতপাতের কারণে হয়রানির সম্মুখীন হয়েছিল। এরপরই চিঠিতে মৃতের বাবা তাঁর ছেলের ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ক্লোন কপি পরিবারকে ফেরত দেওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছেন।

0
1

মুম্বই আইআইটির (IIT Mumbai) ছাত্র দর্শন সোলাঙ্কির (Darshan Solanki) মৃত্যু ঘিরে উঠে আসছে একের পর এক রহস্য। ইতিমধ্যে মুম্বই পুলিশের (Mumbai Police) বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) আরমান খাত্রী নামে এক পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে সোলাঙ্কিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার মৃত পড়ুয়ার বাবা চিঠি দিলেন মুম্বই পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলকে। তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন বিষয়টি যেন জাতিগত বৈষম্যের দিক থেকে গুরুত্ব সহকারে বিচার করা হয়। পাশাপাশি চিঠিতে, সোলাঙ্কির বাবা রমেশ আরও জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে আইআইটি মুম্বইতে লেখাপড়া করার সময় অর্থাৎ ছাত্র থাকাকালীন তাঁকে জাতপাতের কারণে হয়রানির সম্মুখীন হয়েছিল। এরপরই চিঠিতে মৃতের বাবা তাঁর ছেলের ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ক্লোন কপি (Clone Copy) পরিবারকে ফেরত দেওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছেন।

আরমানও মুম্বই আইআইটির ছাত্র। ছাত্রাবাসে দর্শন এবং আরমান একই তলে থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। দর্শন সুইসাইড নোটে আরমানের নাম লিখেছিলেন। এক প্রবীণ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, আরমানকে আগেভাগে ডেকে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল। কিন্তু আরমান পুলিশের সামনে মুখ খুলছেন না। এই কারণে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন বলে মনে করছে পুলিশ। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কোনও কারণে আরমানের সঙ্গে দর্শনের ঝামেলা চলছিল। আর সেই থেকেই এই মর্মান্তিক পরিণতি। পুলিশ দর্শনের আত্মহত্যার মামলার তদন্তে নেমে তাঁর একাধিক সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলছে। তা থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, আত্মহত্যার ঘটনার ঠিক ৫ দিন আগে আরমানের জাত তুলে কিছু মন্তব্য করেছিলেন দর্শন। যা ভাল ভাবে নেননি আরমান। তারপর থেকেই ভয়ে ভয়ে থাকতেন দর্শন। তাঁর বন্ধুদের দাবি, বিষয়টি মিটমাট করে নিতে দর্শন ও আরমান রাগ ভুলে দু’জন দু’জনকে জড়িয়েও ধরেন। কিন্তু দর্শনের ভয় কমেনি। পরিস্থিতি এমনই হয় যে, দর্শন হোস্টেল থেকে আমদাবাদের বাড়িতে চলে যেতে চেয়েও পারেননি। কারণ, আরমানের নিকটাত্মীয়দের বাড়িও একই শহরে। তাই বাড়ি ফিরলেও মার খাওয়ার ভয় ছিল। এরই মধ্যে দর্শন আত্মঘাতী হন।

তবে ছেলের মৃত্যুর পর দর্শনের পরিবারের দাবি ছিল, দর্শনকে তাঁর জাত তুলে অপমান (Caste Discrimination) করা হত। সেই যন্ত্রণা থেকেই দর্শন নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও দর্শনকে তাঁর জাত তুলে কেউ অপমান করেছেন এমন ঘটনার কথা তাঁর বন্ধুরাও মানেননি। তবে ঠিক কী কারনে মৃত্যু তার তদন্ত করছে পুলিশ।