নিজে নিজেই ন.ষ্ট হচ্ছে কো.ষ! বিরল চিকিৎসায় ষোড়শীকে বাঁচালেন ডাক্তার

বারাসত মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে এম আর বাঙ্গুরে (MR Bangur Hospital) যখন মেয়েটিকে আনা হয় তখন কেস রিপোর্ট বলছে, রোগী প্রায় দুমাস ধরে জ্ব.রে ভুগছেন ।

দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে কিশোরীর দেহে মারন রোগ দানা বেঁধেছে। আসলে ক্যান্সার বা এইডস এর মতো এই রোগের মারাত্মক প্রভাব সম্পর্কে সাধারণ মানুষ অতটা পরিচিত নন। তাই শরীর তিল তিল করে নিজেই নিজেকে ধ্বং.স করছিল। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না। অটো ইমিউন সিস্টেম (Auto Immune System) অতি সক্রিয় হলে কত দ্রুত শরীরের সব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ নষ্ট হতে পারে সে সম্পর্কে খুব কম মানুষেরই ধারণা আছে। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের (Barasat) বছর ১৬ বছরের কিশোরী এমন বিরল রোগেই আক্রান্ত হয়েছিলেন। অজান্তেই জীবন শেষ হতে বসেছিল, কিন্তু আচমকাই দেবদূতের মতো হাজির হন কলকাতার এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে (M R Bangur Hospital) ডাক্তার ঋষভ মুখোপাধ‌্যায় (Dr Rishabh Mukherjee)। ডাক্তার যে সত্যিই ভগবান প্রমাণ করলেন তিনি।

বারাসত মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে এম আর বাঙ্গুরে (MR Bangur Hospital) যখন মেয়েটিকে আনা হয় তখন কেস রিপোর্ট বলছে, রোগী প্রায় দুমাস ধরে জ্বরে ভুগছেন । সঙ্গে মুখভর্তি র‌্যাশ রয়েছে। প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে প্রোটিন। কমছে ডব্লিউবিসি (WBC) এবং প্লেটলেট। সেরিব্রাল স্ট্রোকের প্রভাব পরিষ্কার বুঝতে পারলেন চিকিৎসকেরা। রক্ত পরীক্ষা করেও যখন কিছু পাওয়া গেল না তখন রক্তের ANA (অ‌্যান্টি নিউক্লিয়ার অ‌্যান্টিবডি) পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন ডা. ঋষভ মুখোপাধ‌্যায়। রিপোর্টে দেখা গেল শরীরের অ‌্যান্টিবডি অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে পড়েছে। ডাক্তারের কথায় এটা অনেকটা রিউম‌্যাটিক আর্থারাইটিসের (Rheumatic arthritis) মতো রোগ। পুরুষের তুলনায় মহিলাদের এই রোগ বেশি হয়। কিন্তু এই রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি কী? ডা. ঋষভ মুখোপাধ‌্যায় বুঝলেন শরীরের ধ্বংসাত্মক আচরণকে অবিলম্বে বন্ধ করতে দরকার বিশেষ ধরনের ইঞ্জেকশন (Injection)। যদিও সেটা সহজলভ‌্য নয়। এবার ডাক্তার পৌছে গেলেন সুপারের।সবটা শুনে স্বাস্থ‌্যভবনে (Swasthya Bhaban) চিঠি লেখা হল। প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দামের ‘রিটাক্সিম‌্যাব’ ইনজেকশন ( Rituximab’ injection) পাঠালো স্বাস্থ্য ভবন। ইঞ্জেকশন দেওয়ার সাতদিনের মধ্যে মেয়েটি পুরোপরি সুস্থ! রোগীর পরিবার ধন্যবাদ জানিয়েছেন চিকিৎসকের। আর ডাক্তাররা বলছেন স্বাস্থ্য ভবন পাশে না থাকলে কোন কিছুই সম্ভব হতো না।

 

Previous articleভারত-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে নয়াদিল্লিতে শুরু  বাংলা উৎসব
Next articleবাংলা সহ ১৩ আঞ্চলিক ভাষায় হবে CAPF পরীক্ষা, বিবৃতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের