যোগীরাজে আইনশৃঙ্খলার মৃত্যু উত্তর প্রদেশে: আতিক খুনে সুর চড়ালো বিরোধীরা

আইন শৃঙ্খলার মৃত্যু হয়েছে উত্তরপ্রদেশে(Uttar Pradesh)। কত কয়েক মাস ধরে লাগাতার এনকাউন্টারে মানুষ খুনের পর এবার পুলিশি হেফাজতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ(Atiq Ahmed) ও তাঁর ভাই। মাত্র দু’দিন আগেই পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় আতিকের পুত্র আসিফের। এর মাঝেই এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে উত্তর প্রদেশের ভয়াবহ ছবিটা। ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর যোগীরাজের বিরোধিতায় সরব হয়েছে অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলি। শুধু তাই নয় উত্তরপ্রদেশের গত ছয় বছরে ১৩ দিনে একজন করে ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে এনকাউন্টারের মোড়কে। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের।

শনিবার রাতে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য আতিক ও তাঁর ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়েই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালানো হয়। সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় দুজনের। এই ঘটনার পরেই গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে কারফিউ জারি হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিং যাদব। টুইট করে তিনি বলেন, “উত্তরপ্রদেশের অপরাধ একেবারে চরম সীমায় পৌঁছেছে। পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেও কী করে গুলি চালানোর সাহস পায় অপরাধীরা? নিরাপত্তার মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে? আসলে ইচ্ছাকৃত ভাবে মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য এই পরিস্থিতি তৈরি করছে কয়েকজন।”

এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি টুইট করে লেখেন, “হাতকড়া পরা অবস্থায় পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে খুন হয়েছেন আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ যোগী (Yogi Adityanath) সরকার। যারা এনকাউন্টার রাজ নিয়ে উচ্ছ্বসিত তারাই রয়েছে এই খুনের নেপথ্যে।” সাংসদ কপিল সিব্বল বলেন, “এদিনের ঘটনায় মোট তিনটি মৃত্যু হয়েছে। আতিক, আসিফের পাশাপাশি প্রয়াত হয়েছে উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলাও।”

এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিজেপির তরফ থেকে কার্যত সমর্থনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। যোগীর মন্ত্রিসভার সদস্য সুরেশ কুমার খান্না বলেন, “যখন অপরাধ চরমে পৌঁছয়, তখন প্রকৃতিই এমন সিদ্ধান্ত নেয়।” আরেক মন্ত্রী টুইট করে বলেন, “এই জন্মেই পাপ-পুণ্যের হিসাব হয়ে যায়।”

Previous article‘যদি কণ্ঠ দাও’, উৎপল সিনহার কলম
Next articleরিঙ্কুর খেলায় মজেছেন বিরাট, দিল্লিকে হারিয়ে করলেন প্রশংসা