Thursday, August 28, 2025

বিজেপি টাটাকে ‘ফুলের মালা পরিয়ে’ ফেরাবে, শুভেন্দুর দাবিকে পাগলের প্রলাপ বলছে তৃণমূল

Date:

Share post:

সিঙ্গুরে জমি আন্দোলনের সময় তিনি ছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা। বর্তমানে তিনি বিজেপিতে। মঙ্গলবার তাঁর আশ্বাস, বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসলে টাটা শিল্প গোষ্ঠীকে ‘ফুলের মালা পরিয়ে’ ফিরিয়ে আনা হবে।

সিঙ্গুরের বড়া হাওয়াখানা এলাকায় বিজেপির জনসভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুর আন্দোলনের উদ্দেশ্য মোটেই কৃষি জমি ফিরেয়ে দেওয়া ছিল না।
জমি আন্দোলন নিয়ে তার যুক্তি, আমরা সিপিএমের জমি নীতির বিরোধী ছিলাম। কারণ ১৮৯৪ সালের ব্রিটিশদের জমি আইন বস্তা পচা ছিল। তবে আমরা শিল্পের পক্ষে। বরং তার প্রতিশ্রুতি, বিজেপি যদি রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তাহলে টাটাকে ফুলের মালা পড়িয়ে রাজ্যে আনা হবে।
শুভেন্দুর এই দাবিকে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ‌্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই ছিলেন শুভেন্দু। যদি সিঙ্গুরে ওঁর তৃণমূলের নীতি পছন্দ না হয় তাহলে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ, কৃষি জমি বাঁচাও আন্দোলন জিন্দাবাদ, এসব বলে লোকসভায় চলে গেলেন। তখন কেন কিছু বলেননি? আজ ২০২৩ সালে এসে বলছেন সেটা ভুল ছিল।
বিরোধী দলনেতার এই ‘দ্বিচারিতা’র জবাব দিতে বিরোধী দলনেতাকে তুলোধনা করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তার সাফ কথা, সিঙ্গুর আন্দোলন হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। পরে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন মমতা। তার উপর দাঁড়িয়ে অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের এক একজন এক একটা পদে বসে গেলেন। শুভেন্দুর বাবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন। আর শুভেন্দু সিবিআই-ইডি থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়ে এখন ২০২৩-এ বিজেপির জন‌্যই ঘেউ ঘেউ করছেন। সিঙ্গুরে একসময় যে মিছিলে শুভেন্দু থাকতো, কৃষকদের লড়াইয়ে বলতো আমিও আছি। আর এখন বলছে সেটা ভুল ছিল। অকৃতজ্ঞ-বেইমান , তাই এইসব প্রলাপ বকছে।
এরই সঙ্গে শুভেন্দু এদিন দাবি করেন, বিজেপির ৭০ জন বিধায়ক রাজ্যের সরকার ফেলে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। শুভেন্দুর এই দাবিকে পাগলের প্রলাপ ও মস্তিষ্ক বিকৃতি বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।

 

spot_img

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...