রাজ্যে মিড-ডে মিলের টাকা নিয়ে না কি নয়ছয় হয়েছে। আতও এক-দুটাকা নয়, ১০০ কোটি টাকা। JRM-র এই রিপোর্টে যেখানে রাজ্যের তরফে কোনও স্বাক্ষয়ই নেই, তা নিয়ে বিরোধীদের বিপুল সমালোচনা, তখনই সঠিক তথ্য দিয়ে কেন্দ্রের রিপোর্ট প্রকাশ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তিনি জানান, “১০০ কোটি টাকা নয়ছয় তো দূর অস্ত, রাজ্য সরকার ওই একই সময়ে এই প্রকল্পে ১৮.৮ কোটি টাকার সাশ্রয় করেছে!” নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ব্রাত্য বসু লেখেন, ”অযথা চায়ের কাপে তুফান না তুলে জে.আর. এম-র মাননীয় চেয়ারপার্সন কী এই নজিরবিহীন অপদার্থতার যোগ্য জবাবদিহি করবেন অনুগ্রহ করে?”

বাংলায় মিড-ডে মিল প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে বলে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। অভিযোগ, মিড–ডে মিল প্রকল্পে ১০০ কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জানান, রাজ্যকে রিপোর্ট না পাঠিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তা দেওয়া হয়েছে। ওই রিপোর্টে রাজ্যের প্রতিনিধির স্বাক্ষর নেই। ব্রাত্য অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক দল ত্রুটি খুঁজতে এসে না পেয়ে অসত্য তথ্য দিচ্ছে। এমনকী ওই রিপোর্ট বিজেপি অফিসে বসেও লেখা হয়ে থাকতে পারে বলে তীব্র কটাক্ষ করেন ব্রাত্য। এরপর টুইট করে কেন্দ্রের সঠিক রিপোর্ট পেশ করে ভুয়ো খবরের পর্দা ফাঁস করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।