বোলারদের দাপট, হায়দরাবাদকে হারিয়ে ফের জয় পেল দিল্লি

দিল্লি ক্যাপিটালস ১৪৪/৯ (২০ ওভার)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ১৩৭/৬ (২০ ওভার)

জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল দিল্লি। কলকাতার পর এবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে পরপর দুই ম্যাচে জয় পেল দিল্লি ক্যাপিটালস।

হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক ওয়ার্নার। এদিন ওয়ার্নারের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন ফিল সল্ট। তবে এদিন ওয়ার্নার ব্যর্থ। ২০ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে যান। ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে বাউন্ডারি লাইনে তাঁর ক্যাচ লুফে নেন হ্যারি ব্রুক। ওই ওভারেই আউট হন সরফরাজ খান (১০) ও আমন খান (১)। ফলে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৬২ রান তুলতে না তুলতেই ৫ উইকেট খুইয়ে বসেছিল দিল্লি। যদিও এই বিপর্যয়ের মুখে কিছুটা লড়াই করেন অক্ষর প্যাটেল ও মণীশ পাণ্ডে। ষষ্ঠ উইকেটে দু’জনে মিলে যোগ করেন মূল্যবান ৬৯ রান। অক্ষর ৩৪ বলে ৩৪ রান করে আউট হন। মণীশের অবদান ২৭ বলে ৩৪। শেষমেষ দিল্লির রান দাঁড়ায় ১৪৪ এ। হায়দরাবাদের বোলারদের মধ্যে ২৮ রানে ৩ উইকেট পান ওয়াশিংটন। ১১ রানে ২ উইকেট ভুবনেশ্বরের।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেন কমলা বাহিনীর দুই ব্যাটসম্যান। ওপেন করেত নেমে মায়াঙ্ক আগরওয়াল এবং হ্যারি ব্রুক জুটি করেন ৩১ রান। আনরিখ নরকিয়ার বলে সাত রান করেই বোল্ড হলেন হ্যারি ব্রুক। তবে আরও এক ব্যাটসম্যান মায়াঙ্ক কিন্ত দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। পরিবর্ত হিসাবে নামা রাহুল ত্রিপাঠীর সঙ্গে জুটি গড়েন মায়াঙ্ক। দলের রানকে টার্গেটের দিকে এগিয়ে নিয়ে থাকেন। অবশেষে রানেও ফিরলেন।৩৯ বলে ৪৯ রান করলেন হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যান। ১ রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া হল তাঁর।

স্কোরবোর্ডে অল্প রান থাকলেও লড়তে থাকেন দিল্লির বোলাররা। মাত্র ১৪৫ রানের পুঁজি নিয়ে দুর্দান্ত বোলিং করলেন অক্ষর প্যাটেল, অনরিখ নরখিয়া, কুলদীপ যাদব, ইশান্ত শর্মারা। তবে উইকেট না পেলেও মুকেশ কুমারই দিল্লি ক্যাপিটালসের জয়ের নায়ক!শেষ ওভারে জেতার জন্য সানরাইজার্স হায়দরাবাদের চাই ১৩ রান। যা টি-২০ ফরম্যাটে টার্গেট হিসেবে নেহাতই নগণ্য। ওই পরিস্থিতিতে ডেভিড ওয়ার্নার যখন মুকেশের হাতে বল তুলে দিলেন, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন ম্যাচ শেষ। কিন্তু মাত্র পাঁচ রান দিলেন মুকেশ। দিল্লি ম্যাচ জিতে নিল ৭ রানে। বাংলার মুকেশের মুখে তখন তৃপ্তির হাসি।

অন্যদিকে, চাপের মুখে ফের ভেঙে পড়ল হায়দরাবাদের ব্যাটিং। টপ অর্ডারের ব্যাটারদের মধ্যে একমাত্র রান পেলেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল (৪৯)। শেষ দিকে, হেনরিখ ক্লাসেন (১৯ বলে ৩১) এবং ওয়াশিংটন সুন্দর (১৫ বলে অপরাজিত ২৪) মরিয়া চেষ্টা করেও জয় এনে দিতে পারেননি।

ম্যাচটা এক অর্থে ওয়ার্নারের কাছে ছিল জবাব দেওয়ার মঞ্চ। যে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন, সেই দলই তাঁকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল ব্যর্থ তকমা দিয়ে। তারপর থেকেই হায়দরাবাদের মুখোমুখি হলে বাড়তি তাগিদ অনুভব করেন বাঁ হাতি অস্ট্রেলীয় ওপেনার। ব্যাট হাতে নিজে ব্যর্থ হলেও দল জিতেছে। ম্যাচের পর ওয়ার্নারের উল্লাস দেখে মনে হয়েছে যেন যুদ্ধ জয় করেছেন।

আরও পড়ুন- ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষে দাবাং শো-র টিকিট ১ হাজার থেকে শুরু, সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা

 

Previous articleহুগলির হরিপালে উন্নত গ্রামীণ হাসপাতাল, উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী
Next articleমার্লিন গ্রুপের আইডিসিএ  চতুর্থ টি-২০ ডেফ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে উন্মাদনা