তাপপ্রবাহে পু*ড়ছে বাংলা, কেম্ব্রিজের গবেষণায় আগামির ‘বি*পদ সংকেত’

'তাপ সূচক' (heat flow index) থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট বলছে এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhrapradesh), দ্বিতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)।

দেশের মধ্যে তাপপ্রবাহের সূচকে (heat flow index) দ্বিতীয় স্থানে বাংলা (West Bengal)। কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নতুন গবেষণা বলছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট তাপ তরঙ্গ বাংলার উন্নয়নের অগ্রগতিকেও প্রভাবিত করতে পারে। ‘তাপ সূচক’ (heat flow index) থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট বলছে এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhrapradesh), দ্বিতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। বাংলার জন্য এটা চরম বিপদ সঙ্কেত বলেই মনে করছেন কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Cambridge University)গবেষকরা।

আপেক্ষিক আর্দ্রতা এবং বায়ুর তাপমাত্রার প্রভাবকে বিবেচনা করে মানবদেহ যা অনুভব করে সেটাই ‘তাপ সূচক’। ১৯৯২ সাল থেকে সারা দেশে তাপপ্রবাহে প্রায় ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা আর অনুমান বলছে ভারতীয় তাপপ্রবাহ ২০৫০ সালের মধ্যে সব সীমা অতিক্রম করতে পারে ৷ তাপমাত্রা যদি ৪০ ডিগ্রি অতিক্রম করে আবহাওয়া অফিস তখন ‘তাপপ্রবাহ’ পরিস্থিতি বলে ঘোষণা করে। একই সঙ্গে সেই অঞ্চলের তাপমাত্রা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়। এই বছর, চরম গরম আবহাওয়ার কারণে, কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বিভাগটি গাঙ্গেয় বাংলার উপর একটি ‘হলুদ ঘড়ি’ জারি করেছে। এখন গবেষকরা বলছেন এই তাপপ্রবাহের কারণে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় সূচিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রেও সেই প্রভাব পড়েছে। এই সব কিছুতে বদলে যাচ্ছে বার্ষিক সময় ঘড়ি। প্রবল তাপপ্রবাহে কৃষিক্ষেত্রে সঠিক ফলন হচ্ছে না। তাই ফসলের গুণগত মান খারাপ হওয়া সত্ত্বেও তা চড়া দামে তা বিক্রি করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মানুষের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়ছে। এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে তাপমাত্রা ৪০-৪১ ডিগ্রি হওয়ায় মানুষ অস্বস্তিতে পড়েছে। হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পূর্ব বর্ধমানে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, নদিয়া, হুগলি , মুর্শিদাবাদকেও নজরে রাখা হয়। IPCC- এর ষষ্ঠ মূল্যায়ন রিপোর্ট বলছে তাপপ্রবাহের সবথেকে বড় প্রভাব পড়েছে মানুষের স্বাস্থ্যে। বাতাসে প্রচুর আর্দ্রতা এবং তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকা গরমে মানুষের কর্ম ক্ষমতা কমেছে।

২০২৩ সালের এই প্রাকৃতিক অবস্থার জন্য সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। বাড়তে থাকা এসি/ কুলারের চাহিদা অর্থনৈতিক বাজারে প্রভাব ফেলেছে। উত্তর-পশ্চিমের ঝলসে যাওয়া তাপমাত্রা বাংলার ক্লাইমেটে প্রভাব ফেলেছে বলেই মত কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Cambridge University) গবেষকদের। আগামিতে এই প্রভাব বিদ্যমান হবে, যার ফলে স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা সবেতেই বদল ঘটবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

 

Previous articleরাজস্থানের বিরুদ্ধে ম‍্যাচ জিতেও বিরাট ক্ষতি আরসিবির
Next articleধুঁকছে পাকিস্তান, আর্থিক সাহায্য চাইতে চিন সফরে পাক সেনাপ্রধান!