উমেশ পাল (Lawyer Umesh Paul) হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আতিক (Atiq Ahmed) ঘনিষ্ঠ গুড্ডু মুসলিমকে (Muslim Guddu) আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ। আর সেই কারণে আগেভাগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন আতিক আহমেদের শ্যালক আখলাক আহমেদ (Akhlaq Ahmed)। বর্তমানে জেল বন্দী রয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁকে সরাসরি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পথে হাঁটল যোগী সরকার (Yogi Adityanath Government)। জানা গিয়েছে, মীরাটের (Meerut) একটি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন আখলাক।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করাতে যাওয়ার সময় পুলিশের চোখের সামনেই আততায়ীদের গুলিতে খুন হন গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ। তবে সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয়, প্রয়াগরাজে আইনজীবী উমেশ পাল ও দুই পুলিশকর্মী খুনের পর গুড্ডু মুসলিম আখলাকের বাড়িতে ঢুকছেন। আর এরপরই সপ্তাহ তিনেক আগে আখলাককে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর এবার শুধু গ্রেফতারেই থেমে থাকল না বিষয়। চাকরিও খোয়ালেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক (Brajesh Pathak) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, আখলাক অনৈতিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত। যা সরকারি কর্মীর জন্য নিয়ম বিরুদ্ধ। কোনও চিকিৎসক কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীর এমন আচরণ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
পুলিশ সূত্রে খবর, উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে আখলাকের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য প্রমাণ মিলেছে। সেই সূত্র ধরেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গ্রেফতার করে তাঁকে। অভিযোগ, শ্যুটারদের টাকা দিয়েছিল সে। ২০০৫ সালে বহুজন সমাজবাদী পার্টির (BSP) সাংসদ রাজু পাল (Raju Paul) খুনের অন্যতম সাক্ষী ছিলেন উমেশ। ২০০৬ সালে এই উমেশকেই অপহরণ করা হয়েছিল। সেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন আতিক। এদিকে, গত ১৫ এপ্রিল রাতে প্রয়াগরাজ হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়ার সময়ই আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরফ আহমেদের (Ashraf Ahmed) উপর হামলা চালানো হয়। সাংবাদিক সেজে তাঁদের উপর হামলা চালায় আততায়ীরা। তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। আতিকের মাথায় গুলি লাগে। তারপর তাঁকে ও আশরাফকে ঘিরে গুলি চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।