Saturday, August 23, 2025

দাড়িভিট স্কুলে গু.লিকাণ্ডের জের! কলকাতা হাই কোর্টে প্রশ্নের মুখে CID-র ভূমিকা 

Date:

২০১৮ সালের ইসলামপুরের (Islampur) দাড়িভিট স্কুলে (Darivit High School) গুলিকাণ্ডের ঘটনায় ফের সিআইডি (CID) তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। পাশাপাশি সেদিনের পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি। বুধবার এজলাসে বিচারপতি মান্থা বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও সিআইডি তদন্তেরও রিপোর্ট পরস্পর বিরোধী। এই তথ্য দেখে রীতিমতো হতভম্ব হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, দাড়িভিট স্কুলে গুলিকাণ্ডে দু’জনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার প্রশ্নের মুখে পড়ে সিআইডি। আগামিকাল, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুর দু’টোয় মামলার পরবর্তী শুনানি স্থির হয়েছে।

বুধবার আদালতের প্রশ্ন, যেখানে ময়নাতদন্তের (Post Mortem) রিপোর্টে স্পষ্ট কোনও আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে, সেখানে এতদিনেও সিআইডি কেন শনাক্ত করতে পারল না কোন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে? পাশপাশি বিচারপতি মান্থা এদিন আরও প্রশ্ন করেন, এতজন পুলিশকে ঘিরে ফেলার পরেও কেন গুলি চালানো হল না? অন্তত আকাশে গুলি চালালে কি সমস্যা হত? এছাড়াও পুলিশের ভূমিকা নিয়েও এদিন বেশ বিরক্তিপ্রকাশ করেন বিচারপতি। শুধু তাই নয়, এদিন আদালতের একগুচ্ছ প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষক নিয়োগ ঘিরে উত্তাল হয়েছিল দাড়িভিট স্কুল। অঙ্ক ও বিজ্ঞানের শিক্ষকের বদলে কেন স্কুলে উর্দু ও সংস্কৃতের শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল, তা নিয়েই শুরু হয় বিক্ষোভ। আর সেই আন্দোলন চলাকালীনই গুলিবিদ্ধ হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনার পর গুলিকাণ্ডের তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। তবে এদিন আদালতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষের আইনজীবী সুবীর সান্যালের অভিযোগ, সেদিনের ঘটনায় রাজেশ সরকার নামে যে যুবকটি গুলিতে মারা যায়, সেটি এমন একটি বন্দুক থেকে ছোড়া হয়েছিল, যা বহুল ব্যবহৃত নয়। পাশাপাশি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের অনেকেই সেদিন ঘটনাস্থলে ছিলেন না। পাশাপাশি আইনজীবীর আরও দাবি, গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন, মিথ্যা কেসের ভয়ে অনেকেই গ্রাম ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে। দুই ছাত্রের মৃত্যুর পর পুলিশ কখনওই তদন্ত করতে আসেনি।

তবে রাজ্যের তরফে সাফ জানানো হয়, রাজেশ সরকারের পরিবারের তরফে অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তদন্ত শুরু করে। কিন্তু এই তদন্তের বিষয়ে রাজ্যকে কিছু জানানোই হয়নি। পরে এদিন দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতির মন্তব্য, অনেক হয়েছে। আর নয়।

 

 

Related articles

কেরলে মহেশতলার গণধর্ষিতা তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে বরাদ্দ ১ মিনিট! কী লুকোতে চাইছে বামসরকার

বামশাসিত কেরালায় (Kerala) গণধর্ষণের শিকার বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক! নির্যাতিতা পাশে দাঁড়াতে টিম পাঠিয়েছিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক...

পূর্ব ভারতের ইতিহাসে প্রথম! হাড়ের ব্যাঙ্ক চালু হচ্ছে SSKM হাসপাতালে

আরও এক ধাপ এগোল বাংলা। পূর্ব ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম। চালু হচ্ছে হাড়ের ব্যাঙ্ক। এসএসকেএমের অ্যানেক্স শম্ভুনাথ পণ্ডিত...

জুতোর কারখানায় আগুন, আতঙ্ক আনন্দপুরের গুলশন কলোনিতে

আনন্দপুরের গুলশন কলোনিতে একটি কারখানায় আগুন (factory fire) লাগার ঘটনায় চাঞ্চল্য শনিবার সকালে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় প্রথমেই আগুন...

অমানবিক! যোগীর রাজ্যে মৃত নবজাতককে ব্যাগে ভরে বিচারের চেয়ে জেলাশাসকের কাছে বাবা

চূড়ান্ত অমানবিক ঘটনা যোগীরাজ্যে। টাকা অঙ্ক বাড়ানোর নিয়ে দর কষাকষিতে প্রসবে দেরির অভিযোগ। পরিণতিতে প্রাণ হারায় সদ্যোজাত। বিচার...
Exit mobile version