দামোদর নদীতে (Damodar River) দু’টি পৃথক ঘটনায় স্নান করতে গিয়ে জলে তলিয়ে গেল তিন পড়ুয়া। হিরাপুর থানার পুলিশ ও জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের উদ্ধারকারী দল দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। শুক্রবার রাত পেরিয়ে শনিবারও তাদের উদ্ধার করা যায়নি। তলিয়ে যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজন আসানসোলের ডিএভি স্কুলের (DAV School) পড়ুয়া ও একজন হিরাপুর থানার বার্নপুরের আলমনগরের বলে জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর , শুক্রবার হিরাপুর থানার (Hirapur Police Station) অন্তর্গত ভূতনাথ মন্দিরের কাছে এবং নেহেরু পার্কের পিছনে দামোদর নদী ঘাটে স্নান করতে যান ছ’জন কিশোর। তাদের মধ্যে ৩ জন নদীতে ডুবে যায় বলে খবর। নিখোঁজ তিন পড়ুয়ার নাম আতিকুল খান ( ১৪) পীযূষ প্রসাদ (১২) ও রাহুল পণ্ডিত (২০)। জানা গিয়েছে, ক্লাস সেভেনের ছাত্র বছর আতিকুল। তার সঙ্গে থাকা দুই তুতো ভাই তারা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তারা বেঁচে ফেরে। কিন্তু আতিকুলের খোঁজ মেলেনি। সে তলিয়ে যায়।

অন্যদিকে, আসানসোলের বস্তিন বাজারের বাসিন্দা তিন পড়ুয়া। তারা বার্নপুরে ভূতনাথ মন্দিরের কাছে দামোদর রেলসেতু পেরিয়ে ওপারের দিক থেকে সাঁতুড়ি এলাকার দামোদর নদীর ঘাটে স্নান করতে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে ছিল বস্তিন বাজারের বাসিন্দা পীযূষ প্রসাদ (১২) ও রাহুল পণ্ডিত (২০)। নদীতে জল কম থাকায় অন্য পাড়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করে দু’জন। ওই সময় দু’জনকে নদীতে ডুবে যেতে দেখে তৃতীয় কিশোর নদী থেকে কোনও মতে সাঁতরে বেঁচে ফিরে আসে।

এদিকে ভূতনাথ মন্দিরের কাছে দামোদর ঘাট থেকে দু’জনের স্কুল ব্যাগ ও আধার কার্ড উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই তিন পড়ুয়া স্কুল থেকে বেরিয়ে বার্ণপুরে দামোদর নদীতে স্নান করতে গিয়েছিল। আর তার জেরেই ঘটে যায় এমন দুর্ঘটনা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হিরাপুর ও পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি থানার পুলিশ। জোরকদমে চলছে তল্লাশি অভিযানও।