২ মে তারিখটা ক্যালেন্ডারের পাতায় একগুচ্ছ নস্টালজিয়া নিয়ে ফিরে আসে প্রতিবার । শতবর্ষ পেরিয়ে আজও অমলিন সত্যজিৎ। বাংলা চলচ্চিত্র জগতের মহারাজার জন্মদিনে (Satyajit Ray Birthday)তাঁকে সেলাম জানাতে প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরেও সেজে উঠেছে ১০০ নং গড়পার রোড, সত্যজিতের জন্মস্থান। এখন অবশ্য তা ‘এথেনিয়াম ইন্সটিটিউট’ (Athenaeum Institution)। মানিকবাবুর জন্মদিনে সেখানে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন সেখানে পৌঁছে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরি, সুকুমার রায়, সত্যজিৎ রায়ের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি ডা. অশোক রায় (Doctor Ashoke Roy), স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু ঘোষ।

রায় পরিবারের স্মৃতি বিজরিত এই ঠিকানার গুরুত্ব প্রতিটি বাঙালির কাছে অতুলনীয়। ১৯২১ সালে এই বাড়িতেই জন্ম সত্যজিতের। ১৯১৪-১৫ নাগাদ গড়পার রোডের বাড়িটি তৈরি করেন উপেন্দ্রকিশোর। বাঙালির কাছে এই ঠিকানা যেন সাহিত্য সংস্কৃতির পীঠস্থান। কালের নিয়মে আজ তা ‘এথেনিয়াম ইন্সটিটিউট’। এদিন বক্তব্যের শুরুতে এই কথাই উল্লেখ করেন কুণাল ঘোষ। তিনি জানান বিশ্ববরেণ্য সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিভিন্ন স্কুল থেকেও শিক্ষক শিক্ষিকা, ছাত্র ছাত্রীরা এসে উপস্থিত হন। ছোটবেলার গুপী বাঘা থেকে কৈশোরের ফেলুদাকে বাঙালি মননে পাকাপাকি জায়গায় বসিয়ে দিয়েছেন মানিকবাবু। কুণাল ঘোষের কথায় ফিরে এল নস্টালজিয়া। বাবুরাম সাপুড়ে থেকে সন্দেশ- সুকুমার রায় মানেই ফেলে আসা ছেলেবেলা। সত্যজিতের স্মৃতি চারণায় কুণালের কথায় ‘এথেনিয়াম ইন্সটিটিউটের গুরুত্বের কথা শোনা যায়। তিনি বলেন সংস্কৃতি থেকে সাহিত্য সবকিছুতেই বারবার ফিরে আসে এই স্থানের নাম। আগামী প্রজন্মকে ফেলুদা , ফটিকচাঁদের নেশা ধরিয়ে দেওয়ার দায়িত্বের কথা মনে করান তিনি। তাঁর কথায় ধরে পড়ে পথের পাঁচালীর দৃশ্য।

তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন ঐতিহ্যবাহী এথেনিয়াম ইন্সটিটিউটে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। অথচ এখানে যথেষ্ট ভাল ভাল শিক্ষক শিক্ষিকারা আছেন। মঞ্চ থেকেই কুণাল বলেন টাকী বয়েস স্কুলের কাছেও অনুরোধ তাদের আসন সম্পূর্ণ হয়ে গেলে তাঁরাও যেন এই ‘এথেনিয়াম ইন্সটিটিউট’- এর কথা শিক্ষার্থীদের বলেন। তিনি জানান, যাতে পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পুরোটাই কো-এডুকেশন স্কুল করা যায় সেই নিয়ে তিনি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। এছাড়া আজকের অন্যতম আকর্ষণ ছিল সত্যজিতের প্রদর্শনী। ৭৬ বছর বয়সী নারায়ণ মুখোপাধ্যায় ১৯৯৭ সাল থেকে এই কাজ করছেন। তাঁর নানা কালেকশনও এদিন ঘুরে দেখেন কুণাল ঘোষ।
