বিজেপির ‘বনধ সংস্কৃতি’ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা নস্যাৎ ময়নাবাসীর!

এদিন সকাল থেকেই ময়না, পটাশপুর, কাঁথি-সহ সব জায়গাতেই পুলিশের (Police) সঙ্গে দফায় দফায় সং*ঘর্ষে জড়াতে দেখা গেল বিজেপি কর্মীদের।

পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় (Moyna, East Midnapore) বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্ধ অসফল করলেন সাধারণ মানুষ। গাড়ি আটকে, টায়ার জ্বালিয়ে, রাস্তায় বসে বিক্ষোভের একাধিক নাটক করেও কার্যসিদ্ধি হল না গেরুয়া বাহিনীর। জোর করে দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া থেকে শুরু করে পুলিশের বিরুদ্ধে চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির (BJP)কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ, জল কামান ব্যবহার করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিন সকাল থেকেই ময়না, পটাশপুর, কাঁথি-সহ সব জায়গাতেই পুলিশের (Police) সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়াতে দেখা গেল বিজেপি কর্মীদের।

ইচ্ছে করে অশান্তি পাকানোর উদ্দেশ্যে সকাল থেকেই রাস্তায় নামে বিজেপি বলেই অভিযোগ। মাঠে নামেন বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা (BJP MLA Ashok Dinda)। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। পাশাপাশি এলাকার একটি মদের দোকানে গিয়েও দোকান বন্ধ করার কথা বলেন অশোক দিন্দা। বেশ খানিকক্ষণ দোকানের মালিকের সঙ্গে বচসা করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। দফায় দফায় সংঘর্ষে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করে পদ্ম শিবির। বিজেপি কর্মীকে খুনের (BJP Worker Murder)অভিযোগে এই বনধ বলে দাবি করে, কার্যত গুণ্ডামি চালানোর অভিযোগ উঠছে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে। শুভেন্দু অধিকারীর ডাকে ১২ ঘণ্টার বন্‍ধ সফল করতে ময়নার অন্নপূর্ণা বাজারে বন্‍ধ ঘিরে বিজেপির পিকেটিং চলে। বাঁশ দিয়ে রাস্তা ঘিরে ফেলা হয়। পুলিশের গাড়িকেও যেতে বাধা দেওয়া হয়। অন্যদিকে বলাইপণ্ডা বাজারে রাস্তায় মিছিল করে ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ রাখার জন্য জোর করে বিজেপি। পরে বলাইপণ্ডা বাজারেও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। জোর করে দোকানপাট বন্ধ করায় বিজেপি। ময়নার তিন মাথার মোড়ের কাছে বিজেপির অবরোধ তুলে দিল তমলুকের এসডিপিওর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিজেপির এই তাণ্ডবের জেরে রীতিমতো আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। ‘বনধ সংস্কৃতি’ ফিরিয়ে বাংলায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অশান্তি তৈরির চেষ্টা বিজেপির বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।


 

Previous article‘ব্যালট বিভ্রাট’ নিয়ে গুজবে কান নয়: জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বার্তা অভিষেকের
Next articleপুতিন হ.ত্যার ছক! ক্রেমলিনে ড্রোন হা.মলা, ইউক্রেনে পাল্টা জবাবের হুঁ.শিয়ারি