গ্রেফতার ৫৪৮, দোষী মাত্র ১২! সুপ্রিম নির্দেশে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বদল আনছে কেন্দ্র

ব্রিটিশ আমলে তৈরি রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের(Sedition Law) অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে বারবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এবার প্রকাশ্যে এলো এই আইনের ব্যাপক অপব্যবহারের পরিসংখ্যান। দেখা যাচ্ছে গত ৫ বছরে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে গ্রেফতার হয়েছেন ৫৪৮ জন অথচ তার মধ্যে দোষী প্রমানিত হয়েছে মাত্র ১২ জন। এই আইন নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ দেশের সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) নির্দেশ মতো রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের (Sedition law) খোলনলচে বদলে আবার চালু করার কথা জানাল কেন্দ্রের মোদি সরকার(Modi Govt)। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে ব্রিটিশ জমানার এই রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ধারা এবং সাজার বিধানগুলি পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে।

সুপ্রিমকোর্টের তরফে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আগেই, পাশাপাশি জানানো হয়েছিল এটি না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রদ্রোহের ধারায় কোনও মামলা নথিভুক্ত করা উচিত নয়। এরপর এই মামলায় কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমানি শীর্ষ আদালতকে বলেন, “ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ ধারা-সহ রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের আওতায় থাকা বিভিন্ন ধারাগুলি পরীক্ষা করার কাজ শুরু করেছে কেন্দ্র। সেই প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সেক্ষেত্রে আই আইনের বিধানগুলির প্রয়োজনীয় বদল করবে সরকার।” শীর্ষ আদালতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জে পি পারদিওয়ালার বেঞ্চ এই মামলার শুনানি স্থগিত করেছেন।

উল্লেখ্য, ১৮৭০ সালে ব্রিটিশ শাসনকালে এই আইন কার্যকর হয়। সেই সময়ে এটি ব্রিটিশ সরকারের বিরোধীদের ব্যবহার করা হত। যারা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করত, তাদের এই আইনে বিচার করা হত। যদি কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়, তবে তিনি সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। রাষ্ট্রদ্রোহ একটি জামিন অযোগ্য অপরাধ। অপরাধের ধরন অনুযায়ী তিন বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এ ছাড়া জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে। তবে ব্রিটিশ জমানার মত বর্তমান বিজেপি জমানাতেও এই আইনের ব্যাপক অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই মামলায় ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ৫৪৮ জনকে গ্রেফতার করা হয় যার মধ্যে মাত্র ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল।

Previous articleময়নায় বিজেপি নেতার রহস্যমৃ.ত্যু! দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের
Next articleসিঁথিতে সিঁদুর! শ্রাবন্তীকে দেখেই রেগে আ.গুন নেটপাড়া