Thursday, August 28, 2025

সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের জয়ে লাভ হয়েছে বিজেপির: তীব্র আ.ক্রমণ অভিষেকের

Date:

Share post:

তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে এই মুহূর্তে মুর্শিদাবাদে রয়েছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিছুদিন আগেই সেই জেলার সাগরদিঘিতে বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। বিধানসভায় একমত্র প্রতিনিধি পাঠাতে পেরেই প্রবল আত্মতুষ্টিতে ভুগছে কংগ্রেস (Congress)। শনিবার, ‘জনসংযোগ যাত্রা’ শেষে মুর্শিদাবাদের রানিনগরে জনসভা থেকে কংগ্রেসকে প্রবল আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। তাঁর কথায়, সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের জয়ে বিজেপির হাত শক্ত হয়েছে।

অভিষেক বলেন, বাংলায় ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরে পেট্রোপণ্যের দাম কমাতে বাধ্য হয়েছিল কেন্দ্র। কংগ্রেসের থেকে কোনও ভয় নেই বলেই সাগরদিঘিতে তাদের জয়ের পর পেট্রোলের দাম কমায়নি মোদি সরকার। বাইরন বিশ্বাসের জয়ে আদতে BJP-ই অক্সিজেন পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, সাংসদ অধীর চৌধুরীর নামে কখন কিছু বলেন না মোদি-শাহরা। বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদও গত পাঁচ বছরে কখনও বাংলার সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি। কারণ, কংগ্রেস-বিজেপির গোপন ‘বোঝাপড়া’ রয়েছে। তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘‘একটা দৃষ্টান্ত দেখান, কংগ্রেসের কেউ বলেছেন, বাংলার বকেয়া ফিরিয়ে দাও! আমি পরের দিন থেকে মুর্শিদাবাদে পা রাখব না।’’ জনসংযোগ যাত্রা এবং পঞ্চায়েত ভোটের পর তিনি বাংলার মানুষের দাবিদাওয়া নিয়ে দিল্লি যাবেন বলেও জানিয়েছেন।

একই সঙ্গে CPIMকেও কাঠগড়ায় তোলেন অভিষেক। বলেন, ‘‘বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম কোনও দিন অমিত শাহ, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বলছেন, দেখবেন না। কাকে আক্রমণ করছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অন্য দিকে দেখবেন না যে, বিজেপি সাংবাদিক বৈঠক করে অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ করেছে।’’ এরপরেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু তৃণমূল। কারণ তৃণমূলকে এরা ধমকে-চমকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। বিজেপি ভাইরাস হলে ভ্যাকসিন তৃণমূল।’’

অভিষেকের দাবি, ‘‘সাগরদিঘিতে বাইরন জেতার পর বিজেপির হাত শক্তিশালী হয়েছে। কংগ্রেস হেরে তৃণমূল জিতলে এদের খুঁজে পাওয়া যেত না। রামনবমীর নামে, ধর্মের চারিদিকে এনআরসি পরিবেশ তৈরি করছে। মানুষ যাঁকে ভোট দিচ্ছেন, দেবেন। কিন্তু যত দিন বাংলায় মা-মাটি-মানুষের সরকার রয়েছে, এনআরসির এন-ও হতে দেব না। বুক ঠুকে বলে যাচ্ছি। এনআরসির প্রশ্নই ওঠে না। আমরা বৈচিত্রের মধ্যে একতার মন্ত্রে বিশ্বাসী।’’

আরও পড়ুন- যোগীরাজ্যে সংস্কৃত বোর্ডের পরীক্ষায় প্রথম ইরফান, ‘ভাষার ধর্ম’ নিয়ে প্রশ্ন গর্বিত বাবার

 

 

spot_img

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...