যে রক্ষক সেই ভক্ষক: যেভাবে গরু পা.চারের ব্লু-প্রিন্ট বানাতো অমিত শাহের দফতরের BSF

কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডির দাবি, পাচার সিন্ডিকেটের ‘টোকেন’-এর সঙ্গে পরিচিত ছিল সীমান্তে পাহারারত বিএসএফ জওয়ানরা। সেই বিশেষ টোকেন দেখিয়ে অনায়াসে সীমান্তে পৌঁছে যেত গরু ভর্তি ট্রাক ও লরি।

গরু পাচার মামলায় এবার সরাসরি কাঠগড়ায় বর্ডার সিকিওরিটি ফোর্স (BSF)। আদালতে এমনটাই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)।

খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) দফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন বাহিনীর দিকে আঙুল তুলেছে ইডি (ED) ।কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, বছরের পর বছর কার্যত সিন্ডিকেট খুলে রাত ১১ টা থেকে ভোর ৩টের মধ্যে সীমান্তে চলত গরু পাচার। যার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করতেন বিএসএফ কর্তারা। অর্থাৎ, যে রক্ষক সেই ভক্ষক। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতে জমা দেওয়া সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে এমনটাই দাবি করেছে ইডি।

অমিত শাহের দফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন বিএসএফের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। গরু পাচার কাণ্ডে বার বার ‘কিংপিন’ হিসেবে উঠে এসেছে অনেক বিএসএফ আধিকারিকের নাম। পাচারে অভিযুক্ত ও দালালদের সঙ্গে
যোগসাজশ এবং মোটা টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে বিএসএফ কর্তাদের বিরুদ্ধে।

এর আগে মুর্শিদাবাদে বিএসএফের ৩৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের তৎকালীন কমান্ডান্ট সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। ইডির চার্জশিটেও তাঁর নাম রয়েছে। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে ৩৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের আওতাধীন নিমতিতা, খান্ডুয়া এবং গিরিয়া সীমান্ত চৌকি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গরু বিএসএফের সহযোগিতায় বাংলাদেশে পাচারের অভিযোগ তুলেছে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, পাচার সিন্ডিকেটের ‘টোকেন’-এর সঙ্গে পরিচিত ছিল সীমান্তে পাহারারত বিএসএফ জওয়ানরা। সেই বিশেষ টোকেন দেখিয়ে অনায়াসে সীমান্তে পৌঁছে যেত গরু ভর্তি ট্রাক ও লরি।

এখানেই শেষ নয়, বিএসএফের তৎকালীন কমান্ডান্টের পাশাপাশি কাস্টমস আধিকারিকদের গরু পাচারে সরাসরি যোগসাজশ ছিল বলে দাবি করেছে ইডি। পাচারকারীরা
বিএসএফ এবং কাস্টমস অফিসারদের সাহায্যে আটক (সিজড) হওয়া গরু অনেক সস্তায় কিনতেন। খাতায়-কলমে নিলাম দেখিয়ে গরুগুলি পশু বাজারে পাঠানো হয়েছে বলা হলেও আদতে এলাকার রাখালদের মারফত তা বেআইনিভাবে পাচার হতো বাংলাদেশে। এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ লেনদেন ও যোগসাজশ ছিল বিএসএফ এবং কাস্টমস কর্তাদের। এভাবেই বছরের পর বছর গরু পাচারের সিন্ডিকেট চলেছে অমিত শাহের দফতরের অধীনে থাকা বিএসএফ কর্তাদের হাত ধরে। বিএসএফ এবং কাস্টমসকে এড়িয়ে গরু পাচার কার্যত অসম্ভব বলেও দাবি করেছে ইডি।


 

 

Previous articleমার্লিন রাইসের ক্লাব প্যাভিলিয়ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ট্রাইনেশন সিরিজে বাংলাদেশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত
Next articleরাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক, ইতিহাস তৈরির অপেক্ষায় ব্রিটেন