জল্পনায় সিলমোহর! ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমা পেতে চলেছে শান্তিনিকেতন

২০২১ সালে আইসিওএমওএস-র প্রতিনিধি দল বিশ্বভারতীতে আসেন। এরপর পুরো চত্বর ঘুরে দেখে রিপোর্টের ভিত্তিতেইই ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত হতে চলেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) প্রতীচী বিতর্কে রীতিমতো সরগরম বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University)। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি অব্যহত। আর এমন আবহেই এল খুশির খবর। এবার শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ (World Heritage) হিসাবে ঘোষণা করতে পারে ইউনেস্কো (UNESCO)। ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের উপদেষ্টা সংস্থা আইসিওএমওএস (ICOMOS) এই প্রস্তাব করেছেন। মঙ্গলবার টুইট করে একথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডি (G Kishan Reddy)। তারপর থেকেই শুরু হয় জল্পনা। আর বুধবার সেই কথা স্বীকার করলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় (Mahua Bandopadhyay)। তবে বিগত কিছুদিন ধরেই অমর্ত্য সেনের পৈতৃক জমি প্রতীচী নিয়ে বিশ্বভারতীর সঙ্গে অব্যহত বিবাদ। তবে প্রথম থেকেই নোবেলজয়ীর পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে আইসিওএমওএস-র প্রতিনিধি দল বিশ্বভারতীতে আসেন। এরপর পুরো চত্বর ঘুরে দেখে রিপোর্টের ভিত্তিতেইই ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত হতে চলেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এ বছর সেপ্টেম্বর মাসে সৌদি আরবের রিয়াধে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি এ সংক্রান্ত ঘোষণা করতে পারেন বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আর এমন ঘোষণার কথা সামনে আসেতেই রীতিমতো খুশির আবহ।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবীন্দ্রনাথের উপরে কেউ নেই। তাঁর সৃষ্টি, তাঁর চিন্তাধারা বিশ্বের দরবারে। এই প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতে সকলে মিলে কাজ করে যেতে হবে।

 

 

Previous articleদুবাইয়ে ভারতীয় বঙ্গীয় পরিষদের রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপন, উদ্যোগে দ্য কনস্যুলেট জেনারেল অব ইন্ডিয়া
Next articleরাতের অন্ধকারে দু.র্ঘটনা! লাইনচ্যুত ডাউন বর্ধমান-ব্যান্ডেল লোকাল, চরম ভোগান্তি যাত্রীদের