Wednesday, December 3, 2025

প্রসূতি মৃ.ত্যুর হার কমাতে বিশেষ উদ্যোগ, আধিকারিকদের কড়া বার্তা স্বাস্থ্য দফতরের

Date:

Share post:

সিজার পরবর্তী সময়ে প্রসূতির যে যত্ন নেওয়ার কথা, তা অনেক ক্ষেত্রেই ঠিকঠাকভাবে নেওয়া হচ্ছে না। আর সেকারণেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ সহ একাধিক কারণে এড়ানো যাচ্ছে না প্রসূতি মৃত্যুর (New Born Baby) সংখ্যা। আর সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই এবার বড় উদ্যোগ রাজ্য সরকারের (West Bengal Government)। রাজ্যের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, এবার বেসরকারি হাসপাতাল (Private Hospital) বা নার্সিংহোমে (Nursing Home) প্রসূতি বা সদ্যোজাতর মৃত্যুর বিশদ তথ্য সরকারি ‘মাতৃ মা’ পোর্টালে নথিভুক্ত করা হবে। পাশাপাশি পোর্টালে কিভাবে নাম নথিভুক্ত করতে হবে সেই বিষয়ে হাসপাতালগুলির প্রশিক্ষণ ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবনে আয়োজিত একটি বৈঠকে এই বিষয়ে সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে অনর্থক সিজার নিয়েও। তবে শুধু সরকারিই নয়, বেসরকারি হাসপাতালগুলিও যাতে মাতৃ-মা পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করতে পারে সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। এছাড়াও, এসএনসিইউ-তে (SNCU) পরিচ্ছন্নতার অভাবে অনেক সময় সেপসিস হয়ে মারা যাচ্ছে সদ্যোজাতেরা, সেই বিষয়েও কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, প্রসূতি ও শিশুর মৃত্যু প্রত্যাশামতো কমানো যাচ্ছে না বরং কিছু ক্ষেত্রে বেড়ে গিয়েছে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরেই মায়ের মৃত্যুর ঘটনা। আর সেকারণেই এদিনের বৈঠকে স্বাস্থ্য দফতর সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ব্লক স্তরে যেখানে যেখানে ডেলিভারি হয়, সেই সমস্ত জায়গায় কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে দেখতে হবে বাড়ি নয়, সন্তান যেন হাসপাতালেই প্রসব করে। তবে গত এক দশকে শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও বেড়ে গিয়েছে সিজারের সংখ্যা। তার একটি কারণ যেমন গ্রাম বাংলায় বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধি, তেমনই অপর কারণ হল, সরকারি হাসপাতালে অ্যানাস্থেটিস্টের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্তাদের অভিজ্ঞতা হলো, সিজ়ার পরবর্তী সময়ে যে যত্ন প্রসূতির নেওয়ার কথা, তা অনেক ক্ষেত্রেই নেওয়া হচ্ছে না। ফলে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং অন্য নানা কারণে এড়ানো যাচ্ছে না প্রসূতির মৃত্যু। স্বাভাবিক প্রসবের হার যেখানে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ ও সিজারের হার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হওয়া উচিত, সেখানে শহরাঞ্চলে সিজারের হার প্রায় ৪৫ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলে প্রায় ৩০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

 

 

spot_img

Related articles

বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে বিশেষভাবে সক্ষমদের সুবিধার্থে বিশেষ প্রকল্পের কথা স্মরণ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রতিবছর ৩ ডিসেম্বর বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস(International Day of Persons with Disabilities) হিসেবে পালিত হয়। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ১৯৯২ সাল...

‘স্মৃতি’ হারিয়ে ভক্তিপথে পলাশ! প্রেমানন্দজী মহারাজের আশ্রমে হাজির বলিউড সুরকার

ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সহ অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানের (Smriti Mandhana) সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিয়ের...

ভাঙন রোধে মোদি সরকার কিছু করেনি, ২০০ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য: মালদহে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী

মালদহ ও মুর্শিদাবাদের প্রধান সমস্যা গঙ্গা-ভাঙন। কিন্তু সেই ভাঙন (Erosion) রোধে কিছুই করেনি কেন্দ্রে বিজেপি (BJP) সরকার। বুধবার...

বকেয়া টাকা মেটানোর দাবিতে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ তৃণমূলের, খতিয়ান তুলে কেন্দ্রকে তোপ দোলার 

১০০ দিনের কাজ গ্রামীন আবাস যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্পে প্রাপ্য প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। এর...