কালিয়াগঞ্জের তদন্তে নয়া SIT গঠন হাইকোর্টের, দলে দময়ন্তীর পাশাপাশি পঙ্কজ-উপেন

হাই কোর্টের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, তদন্ত চলাকালীন কোথাও কোনও ইন্টারভিউ দিতে পারবেন না সিটের তদন্তকারী আধিকারিকরা।

কালিয়াগঞ্জে (Kaliyaganj) নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। আর এই আবহে ঘটনার তদন্ত করার জন্য সিট (SIT) গঠন করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) নির্দেশ দিয়েছেন, আদালতের নজরদারিতেই হবে এই মামলার তদন্ত। আর সিট সেই ঘটনার তদন্ত করবে। হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, সিটের তদন্তকারী দলে থাকবেন রাজ্যের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত (Pankaj Dutta), আইপিএস দময়ন্তী সেন (Damayanti Sen) ও প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস (Upendra Nath Bishwas)। তবে এদিন হাই কোর্টের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, তদন্ত চলাকালীন কোথাও কোনও ইন্টারভিউ দিতে পারবেন না সিটের তদন্তকারী আধিকারিকরা। আগামী ২৮ জুনের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিটকে।

এদিন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ সাফ জানিয়েছে সিট যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে দ্বিতীয়বার তাঁরা ময়নাতদন্ত (Post Mortem) করতে পারবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। পরে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে বিষ খেয়েই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই কিশোরী। এদিকে বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে রাজ্যের তরফে ঘটনার তদন্তের রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। রিপোর্টে দেখা যায়, ঘটনার দিন সুরতেহাল হয়েছিল, আর ময়নাতদন্ত শুরু হয় সাড়ে ৩ টে নাগাদ।

এরপরই বিচারপতি মান্থা প্রশ্ন তোলেন, কেন ময়নাতদন্তের পর সুরতেহাল করতে হল? পাশাপাশি সুরতেহাল ও ময়নাতদন্তের সময়ের মধ্যে সন্দেহজনক পার্থক্য রয়েছে বলেও এদিন মন্তব্য করেছেন বিচারপতি মান্থা। অন্যদিকে, রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের সময় পরিবারের কোনও লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।

তবে এদিনের কলকাতা হাই কোর্টের রায় প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “আমি আদালতকে সম্মান করি। তবে সিট কাদের নিয়ে গঠন করা হচ্ছে সেই বিষয়টি আদালতের বিচার করে দেখা উচিত। যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই যোগ্য ও শ্রদ্ধেয়”। কিন্তু এরপরই কুণাল প্রশ্ন তোলেন, সংবাদমাধ্যমে মুখ দেখিয়ে যারা রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন তাঁদেরই যদি অগ্রাধিকার দেওয়া হয় তাহলে সেটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। রাজ্যে অনেক অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার রয়েছেন কেন তাঁদের মধ্যে কাউকে নিয়োগ না করে টিভিতে মুখ দেখানো এবং সরকারের সমস্ত বিষয়ে সমালোচনা করা রাজ্যের প্রাক্তন ডিজি পঙ্কজ দত্তকে নিয়োগ করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কুণাল। তবে কুণাল এদিন বারবার মনে করিয়ে দেন, আদালতকে তিনিস সবসময় সম্মান করেন এবং আদালতের উপর তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। পাশাপাশি উপেন বিশ্বাসকে নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন কুণাল। তবে এদিন দময়ন্তীকে যোগ্য বলেই মত তাঁর।

 

 

 

Previous articleমোহনবাগান ছাড়লেন তিরি, বাগানের নজরে অস্ট্রেলিয়ার এই বিশ্বকাপার
Next articleআশারাম বাপুকে অবমাননা? নোটিশ পেয়ে বিত.র্কে ‘সির্ফ এক বান্দা কাফি হ্যায়’!