কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে (Karnataka Assembly Election) কংগ্রেসের (Congress) জয়জয়কারের মধ্যেই এবার শোনা গেল ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ (Pakistan Zindabad) স্লোগান। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আর সেই ভিডিও দেখেই নেটিজেনদের একাংশের দাবি, কর্নাটকের বেলাগাভিতে কংগ্রেস (Congress) কর্মীরা ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিচ্ছে। টুইটারে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে ভিডিওটি বর্তমানে ট্রেন্ডিং। তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ।
“Pakistan Zindabad” Slogans raised in Belagavi, Karnataka
That too in front of the police. Wow!
pic.twitter.com/p8KaOi69e2— BALA (@erbmjha) May 13, 2023
জানা গিয়েছে, কর্নাটকের বেলাগাভিতে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় শনিবার ১৩৭ আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে কংগ্রেস। রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কংগ্রেস কাকে বেছে নেওয়া হবে, সেই দিকেই এখন সকলের নজর। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে হিমাচল প্রদেশ বাদে কোনও রাজ্যেই কংগ্রেস জিততে পারেনি। আর এই বিপুল আসনে জয়লাভ করে প্রায় ৪০ বছরের রেকর্ড ভাঙল কংগ্রেস। আসন সংখ্যাই হোক বা ভোটের শতাংশ, দুই দিক থেকেই বিগত ৩০ বছরেরও বেশি সময়ের রেকর্ডকে ভেঙে চুরমার করেছে কংগ্রেস। ২০১৮ সালের কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনেও জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস, তবে সেই বার আসন সংখ্যা ছিল ৮০।
সাম্প্রতিক এই বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস যে ফল করেছে, তার কাছাকাছি শেষবার পৌঁছতে পেরেছিল ১৯৯৯ সালে। সেই নির্বাচনে কংগ্রেস ১৩২টি আসনে জয়লাভ করেছিল। ভোটের শতাংশ ছিল ৪০.৮৪ শতাংশ। এদিকে কর্নাটকে নির্বাচনী প্রচারে যখন নেমেছিল কংগ্রেস, তখনও তারা আশা করেননি যে এই বিপুল সংখ্যক ভোটে জয়ী হতে পারবে। কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল, ১৩৭ টি আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস, যা লক্ষ্যমাত্রার থেকেও বেশি। প্রাপ্ত ভোটের হার ৪২.৯ শতাংশ।
কংগ্রেসের এই বিপুল আসনে জয় নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiya) জানান, দলের অনুমান ছিল, ১২০টির বেশি আসনে জয়লাভ করবে কংগ্রেস। কিন্তু এত সংখ্যক আসন পাবেন, তা কল্পনা করতে পারেননি কেউ। এই বিপুল জয়ের জন্য কর্নাটকের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “এই জয় কর্নাটকবাসীর। ওরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং বেছে নিয়েছেন। সেই কারণেই আমরা ১৩৭টি আসনে জয়ী হয়েছি। ৩৬ বছর পর আমরা এত সংখ্যক আসন পেলাম। এটা আমাদের কাছে বড় সাফল্য। আমরা জনগণের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। তাদের বিশ্বাসকে ধরে রাখার চেষ্টা করব।”