‘তৃণমূলে নব জোয়ার’ কর্মসূচিতে রাজ্যজুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। সাধারণ মানুষের সামনে গিয়ে শুনছেন অভাব-অভিযোগের কথা। গ্রামের রাস্তার ধারের চায়ের দোকানে সারছেন জনসংযোগ। রোড শোতে গাড়ির মাথায় চড়ে উড়িয়ে দিচ্ছেন গোলাপ ফুলের পাপড়ি। নবতিপর বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিচ্ছেন। শিশুকে কোলে তুলে ভরিয়ে দিচ্ছেন আদরে। আর সেই সঙ্গে চলছে আর আগামী দিনের লড়াইয়ের রূপরেখা তৈরি। তৃণমূলের (TMC) নেতাকর্মীদের একজোট হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

মঙ্গলবার মানকরে জেলা নেতৃত্বকে অভিষেক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, নিজেদের মধ্যে ঐক্য ও সমন্বয় রেখে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দলের সব কর্মসূচিতে সকলকে সামিল করতে হবে। দলীয় স্তরে এখনও যেখানে ফাঁক ফোকর আছে আগামী সাত দিনের মধ্যে তা মিটিয়ে ফেলতে হবে। আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। তাদের অভাব – অভিযোগের কথা শুনতে হবে। সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বোপরি যাই ঘটুক মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতে হবে। এই বৈঠকের পর দলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি.শিবদাসন দাশু বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই সার্বিক ঐক্য স্থাপনের উপর জোর দিয়েছেন। কারণ আগামী দিনে আমাদের অনেক বড় লড়াই করতে হবে। তাই সর্বস্তরে ঐক্যের আবহে সেই লড়াইয়ের ময়দানে আমাদের ঝাঁপাতে হবে।”
এদিন পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ের গুরুনানক গুরুদ্বারে প্রার্থনা করেন অভিষেক। এরপর লোকনৃত্য, ঢোলের বাদ্যি তাঁকে বরণ করেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। রোজকার মতো এদিনও রোড শোয়ে জনস্রোতে ভেসে গিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন- সাধারণের সুরক্ষা-নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে রাজ্য সরকার


এদিন বিশেষ ভাবে সক্ষম বাবর আলি এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর অভিযোগ জানাতে । বাবরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধেই। কারণ পুলিশ নাকি বেশ কিছু সামাজিক সমস্যা সমাধানে কোনও ব্যবস্থা নেয় না । তাই ফরিয়াদ জানাতে বাবর কোন রকমে ঘষটে ঘষটে এসেছেন বহু আশা নিয়ে পানাগড়ে। মন দিয়ে তাঁর কথা শুনেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং দ্রুত সমস্যার সমাধানের নির্দেশও দিয়েছেন।
